১২ জন জুরি যে ব্রজেশ্বর দত্তের চারপাশের ১২ জন ব্যক্তির সত্তা। তাঁরা যুক্তিতর্ক দিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করে যান একে অন্যের সঙ্গে। এ রকম এক দৃশ্য থেকে শুরু হয় ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ সিনেমাটি। বিশাল ১২টি চেয়ারের ১২ জন ব্যক্তির পেছনে আবার ১২ রাশির চিহ্ন—এ যেন একেকজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ। আর জুরিবোর্ডের সবার বিপক্ষে প্রথমেই অমত করা লোকটির চরিত্রে যখন ভিন্ন এক পরমব্রতকে দেখা যায়, তখন চমক লাগে। সেই সঙ্গে পর্দায় ভেসে ওঠে একে একে সবার চেহারা। ১২ ব্যক্তি ধরা দেয় এক ফ্রেমে। গল্পের শুরুর দিকটায় এমন কিছু ভালোলাগা আর চমক রেখে সৃজিত নিজের জাত চেনান। তারপর একে একে সেই জুরিবোর্ডের সভা বসে মঞ্চে, গলফের মাঠে, রাতের হাইওয়েতে, জঙ্গলে, এমনকি সমুদ্রের তীরেও। সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে অর্ধেক চেয়ার ডুবে যাওয়া জুরিবোর্ডের বসা দেখতে বেশ লাগে। আবার গভীর জঙ্গলে ঘেমে-নেয়ে আলোচনাটা হয়ে ওঠে আরও মারকুটে। এ যেন সত্যিই গরমে মাথা ঠিক না থাকার এক বাস্তব প্রকাশ।