এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, গত এপ্রিল জুড়ে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা ছিল। সাগরেও একইভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল এবং মে মাসেও তা অব্যাহত থেকেছে। ফলে ওই তাপ জমে সেখানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। তিন-চার বছর ধরে এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের প্রভাবে মূলত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় বাড়ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এর আগে ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হেনেছিল মে মাসে। ওই চার বছরে বাংলাদেশে মোট আটটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বাকি ঝড়গুলো অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আঘাত করেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সাধারণত এপ্রিলে বাংলাদেশ, ভারতসহ বঙ্গোপসাগর এলাকায় তাপপ্রবাহ থেমে থেমে আসে। দেশের মাঝের ভূখণ্ডে কালবৈশাখী এবং সাগরে লঘুচাপ বা নিম্নচাপ তৈরি হয়। এতে বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা তাপ কমে আসে। ফলে একবারে অনেক বেশি তাপমাত্রা জমে না। কিন্তু গত এক যুগ ধরে সাগরে লঘু বা নিম্নচাপের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তা দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে।