প্রথম দুই দফার তুলনায় তৃতীয় দফার ভোটের হার সামান্য ভালো হলেও বিজেপির চিন্তা যাচ্ছে না। তারা ভেবে পাচ্ছে না, খোদ প্রধানমন্ত্রী বারবার বলা সত্ত্বেও মানুষ কেন ভোটের দিন কেন্দ্রমুখী হতে চাইছেন না। তারা বিশেষভাবে চিন্তিত হিন্দি বলয়ের সেসব রাজ্য নিয়ে, যেখানে ১০ বছর ধরে মানুষের নিঃশর্ত সমর্থন ঢালাওভাবে পেয়ে এসেছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ বুধবার নরেন্দ্র মোদির মুখে আচমকাই শোনা গেল আদানি-আম্বানির নাম। দুই শিল্পপতির নাম করে তিনি বলেন, ভোট শুরু হতেই কংগ্রেস এই দুটি নাম মুখে আনা বন্ধ করেছে। তবে কি কংগ্রেস তাদের কাছ থেকে ট্রাকভর্তি অর্থ পেয়েছে? শাহজাদা কি বলবেন, কত টাকা তাঁরা পেয়েছেন?
প্রথম দুই দফায় প্রাথমিকভাবে ভোট পড়েছিল ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। পরে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাবে তার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। ভোটের হার বেড়ে যায় প্রায় ৬ শতাংশ! তা নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বামপন্থীরা সরব হলেও নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা শোনাতে পারেনি। ফলে বিরোধীদের মনে একধরনের সন্দেহ বাসা বাঁধছে। বিজেপিকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো খেলা খেলছে কি না, সেই প্রশ্নের উদয় হচ্ছে।