প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে দাড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড।দেড়শ পেরোনোর আগে গুটিয়ে গিয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে।দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড় গড়লেও এবার অবশ্য লড়াই করে হেরেছে ইংলিশরা।
লর্ডসে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩৩০ রান। ক্রিকেট-তীর্থ খ্যাত এই মাঠে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি।
এখানে এই সংস্করণে রান তাড়ায় তিনশর বেশি করার নজির ছিল এতদিন কেবল একটিই। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্মরণীয় জয় পেয়েছিল ভারত।
সিরিজে ফিরতে ইংল্যান্ডকে তাই গড়তে হতো এখানে সর্বোচ্চ রান তাড়ার নতুন রেকর্ড। হেডিংলিতে প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংলিশরা এবার যেতে পারে ৩২৫ পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা।
৩৩১ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুতেই বিপদে পড়ে। প্রথম বলেই আউট হন জেমি স্মিথ। এরপরও জ্যাকব বেথেলের ৫৮ এবং অভিজ্ঞ জো রুটের ৬১ রানের দারুণ ইনিংসে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড।
জস বাটলার ৬১, হ্যারি ব্রুক ৩৩ ও উইল জ্যাকস ৩৯ রান করলেও জয়ের পথে থাকতে পারেনি ইংলিশরা। শেষদিকে আর্চারের ব্যাটে কিছুটা লড়াই দেখা গেলেও শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।
সাকিব মাহমুদের সঙ্গে শেষ জুটিতে আর্চার চেষ্টা করলেও দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার সেনুরান মুথুসামি দারুণ স্নায়ুচাপে বোলিং করে ম্যাচ জেতান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে ব্যর্থ হয়ে পাঁচ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।
সিরিজের শেষ ম্যাচটি আগামী রবিবার সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত হবে। হারলে ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বরণ করতে হবে ইংল্যান্ডকে।