দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, “আমরা আগে যেমন সংগ্রাম করেছি মানবাধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এখনো ‘আমার দেশ’ তাই করে যাবে। আমরা আমার দেশের মাধ্যমে ইসলামফোবিয়া মোকাবিলা করব।” তিনি বলেন, ‘আমরা অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হতে চাই। অসহায় মানুষের জন্য আমার দেশের দরজা সব সময় খোলা।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আমার দেশ পত্রিকার নবযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজসহ আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস, এই ইনিংস শুধু মিডিয়ার প্রতি উৎসর্গ। এই খেলাটা আমি মিডিয়ার ফিল্ডেই খেলব। আর কোনো ফিল্ডে আমি যাব না। মিডিয়ার ফিল্ডে থেকে আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘একেবারে শূন্য থেকে দুই মাসের মধ্যে একটি জাতীয় পত্রিকা বের করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু আমার মনে জোর ছিল। আমার সহকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা সফল হতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, আগামী ২২ ডিসেম্বর সকালে আমার দেশ আপনাদের বাসায় ও অফিসে পৌঁছে যাবে। পত্রিকা শুরু করলে প্রথম মাসে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়। আপনারা ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মিডিয়াতে একটা ইসলামফোবিয়া রয়েছে। কেউ হয়তো স্বীকার করতে চাইবেন না। কিন্তু আছে। আমরা আমার দেশের মাধ্যমে ইসলামফোবিয়া মোকাবিলা করব।’ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট সম্ভব সঠিক খবরটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা জানেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমলে অনেক পত্রিকা ইসলামি জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে, বড় বড় অনেক পত্রিকায় শুধু এক পক্ষের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। ভিকটিমের কখনো বক্তব্য ছিল না, শুধু পুলিশ, র্যাবের বক্তব্য দিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ হতো। দুই পক্ষের বক্তব্য দেওয়া হতো না। আমি একজন সম্পাদক, কোনো পত্রিকার নাম উল্লেখ করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দালালির কারণে মানুষের পত্রিকা পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। বড় বড় পত্রিকার সার্কুলেশন কমেছে ৫০ শতাংশ। আমরা মানুষের মধ্যে পত্রিকার প্রতি আস্থা বাড়াব। পত্রিকা হলো সমাজ-সংস্কৃতির দর্পণ। আমরা চাই, মানুষ অপেক্ষা করুক। সকালবেলা পত্রিকার জন্য অধীর আগ্রহে থাকুক। আমার দেশ সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’