যশোর শহরের দড়াটানায় একটি বইয়ের দোকান ও একটি স্টিল ট্রাংকের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, জায়গা দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে এই আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের আশঙ্কা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বই ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান তিনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মালিকানাধীন আহমেদ বুক ডিপোতে আগুন লাগার খবর পান তিনি। খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে আগুন নেভানোর কাজ করতে দেখেন তিনি। দোকানে থাকা বই, খাতাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
পাশের দোকান প্রগতি স্টিল ট্রাংকের দোকানের মালিক বলাই চন্দ্র দাবি করেন, আগুনে তার দোকানের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, তিনটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
তবে, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মালিক সমিতি যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক মহসীন সরকার বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নয়, পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন দিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেবো।
প্রসঙ্গত, শহরের দড়াটানা থেকে হজরত গরীব শাহ (রা.) মাজার পর্যন্ত সরকারি জায়গায় বই, স্টিল ট্রাংক, লেপ তোষকসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। সম্প্রতি এসব দোকান ছেড়ে দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।