শরীরের সুস্থতায় লিভারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, বেশিরভাগ সময় আমরা লিভারের যত্ন নিতে ভুলে যাই। লিভার শরীরের টক্সিন দূর করা থেকে শুরু করে হজমে সহায়তা, প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংরক্ষণ সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ লিভারের যত্নের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি যখন সমস্যার শুরু হয়ে যায়।
একটি সুস্থ লিভার মানেই শক্তি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার মূল চাবিকাঠি। বিশ্বব্যাপী লিভার সমস্যা যেভাবে বাড়ছে, সে প্রসঙ্গে ডা. সৌরভ শেঠি সহজ অথচ কার্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে লিভারের সুরক্ষার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।স্ট্যানফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. সৌরভ শেঠি জানিয়েছেন, সহজ কিছু খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমরা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারি।
বিশ্বে প্রায় দুইশো কোটিরও বেশি মানুষ ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত। আর এর পেছনে প্রধান কারণগুলোর একটি হলো অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস।
লিভারের জন্য উপকারী হিসেবে ডা. শেঠি যেসব খাবার পরামর্শ দিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে:
খেজুর ও আখরোট:
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খেজুরের সঙ্গে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট একটি সহজ এবং পুষ্টিকর স্ন্যাক্স হিসেবে দারুণ।
মিশ্র বাদাম:
ভিটামিন ই-তে ভরপুর মিক্সড নাটস লিভার কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেট ও বাদাম:
যাদের মিষ্টি খাবারে দুর্বলতা আছে, তাদের জন্য ডার্ক চকলেট ও বাদামের মিশ্রণ স্বাস্থ্যকর এবং লিভারের জন্যও সহায়ক, কারণ দুটিতেই রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সমৃদ্ধি।
মধু, আপেল ও দারুচিনি:
আপেলকে বলা হয় সুপারফ্রুট,পেট ও লিভারের জন্য দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে মধু ও সামান্য দারুচিনি যোগ করলে তৈরি হয় এক অসাধারণ স্বাস্থ্যকর ট্রীট।
গ্রিক দই ও বেরি:
গ্রিক দই বা ঘরের তৈরি টক দইয়ের সঙ্গে বেরির মিশ্রণ দেয় প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের শক্তিশালী সংমিশ্রণ, যা পেট ও লিভার উভয়েরই স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
আখরোট, ডার্ক চকলেট, হিমায়িত খেজুর এবং মধু-দারুচিনি মেশানো অ্যামব্রোসিয়া আপেল খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।ডার্ক চকলেটের সঙ্গে আখরোটের কম্বিনেশন এতটাই উপভোগ্য যে লিভারের যত্ন নেওয়াও মজা হয়ে যায়!
সূত্র:https://tinyurl.com/5cjfcmxs