যশোর প্রতিনিধি :
যশোর শহর ও শহরতলীর কিছু আবাসিক হোটেল গুলির বেশিরভাগেরই মূল ব্যবসা যৌনবৃত্তি। আর এই যৌন বৃত্তি ব্যবসার অংশ হিসেবে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তর মাসে মোটা অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ আছে । তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে এবার জেলা পুলিশে যোগদানকৃত নবাগত এক কর্মকর্তা কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেই অভিযান চালিয়ে আবাসিক হোটেল নিঁঝুম থেকে আটক করেছে ৪ যৌন কর্মীকে ।আটককৃত ৪ যৌনকর্মী নিজেদের কলেজছাত্রী বলে পরিচয় দিয়েছে । দীর্ঘদিন পর পুলিশের এমন আকস্মিক অভিযানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার সচেতন মহল ।
এদিকে, যৌন কর্মীরা আটক হওয়ায় মাসিক নেয়া পুলিশ কর্তা ও সদস্যদের মাথায় হাত উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।থানা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মঙ্গলবার দুপুরে খোদ যশোর সহকারী পুলিশ সুপার ক সার্কেল ভাস্কর সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহরের রেলষ্টেশন সংলগ্ন আবাসিক হোটেল নিঝুমে অভিযান চালিয়ে ৪ যৌন কর্মীকে আটক করেছে।
সুত্রটি জানিয়েছেন,দুপুর আনুমানিক দেড়টার সময় আবাসিক হোটেল নিঝুমে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ উক্ত ৪ যৌন কর্মী ও এক খরিদ্দারকে আটক করে। পরে খরিদ্দার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সটকে পড়ে।আবাসিক হোটেলের ৩ ও ৪ নং কক্ষের মধ্যে থেকে দ্রুত পালানোর কালে পুলিশের অভিযানটিম ধরে ফেলে।নিঝুঁমে অভিযান চালানোর ফলে পুলিশের অনেক কর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার চুক্তিবদ্ধদের মাথায় হাত পড়েছে। সুত্রটি জানিয়েছেন,উক্ত আবাসিক হোটেল নিঁঝুমের মূল ব্যবসা যৌন বৃত্তি।এক সময় স্থানীয় বিএনপি’র এক নেতার মদদে উক্ত নিঝুমে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গনিকালয়ের ন্যায়ে ৫ থেকে ৮জন যৌন কর্মীকে রেখে ব্যবসা চালানো হতো।
সে সময় স্বপন,শহিদ,জনি,পাগলাসহ অনেকে হোটেলে দায়িত্ব পালন করতেন।নিঝুমের মূল যৌন বৃত্তি ব্যবসা জেনে কোতয়ালি থানার কতিপয় দু’টি সিভিল টিমের কর্মকর্তা,চাঁচড়া ফাঁড়ি,ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাসিক মোটা অংকের মাসোহারা পেতো।সুত্রটি আরো জানিয়েছেন, নিঝুমের ন্যায় যশোর শহরের অনেক আবাসিক হোটেলে বোর্ডারের অন্তরালে মূল ব্যবসা যৌন বৃত্তি।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যায় ক্রমে যৌনকর্মীদের রেখে আবাসিক হোটেলের মালিক ম্যানেজারদের সাথে চুক্তি করে হোটেল প্রতিদিনের জন্য লিজ প্রদান করতো।
পুলিশের রেকর্ড থেকেই জানা গেছে, ,আবাসিক হোটেল,ইউরোপেনশন,সিলেট,শরীফ,নিরব,রিনা যা বর্তমানে ম্যাক্স, রুপালী,প্রবাল, মিড নাইট, শাহিন, শাহনাজ, শাহরিয়া, শ্রীদূর্গা হোটেল, গার্ডেন, সিটি, পলাশ, মেঘনা, যশোর রেষ্ট হাউজ, পূর্বরাগ, মধুমতি, সানরাইজ, আল আমিনসহ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ টি আবাসিক হোটেলে এক সময় যৌন কর্মী রেখে হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার যৌনবৃত্তি চালিয়ে যেতো।
বর্তমানে যশোর শহর ও শহরতলী এলাকায় গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেল গুলিতে চরম সর্তকর্তার সহিত যৌনবৃত্তি ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসছে।সুত্রটি জানিয়েছেন,যশোর উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের নীচে আবাসিক হোটেল আল-আমিন,হোটেল নিউ মার্কেট,নিঝুম,শাহিন,শাহনাজসহ কমপক্ষে ১০/১৫টি আবাসিক হোটেলের মূল ব্যবসা যৌনবৃত্তি।অজ্ঞাতকারনে পুলিশ অভিযান চালান না।