শ্রমিক সংগঠনগুলো জাহাজভাঙা কারখানার কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংস্থা ইয়ার্ডগুলোকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে গ্রিন করার ওপর জোর দিচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন করার সময় বেঁধে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত সাতটি কারখানা গ্রিন হয়েছে। বাকি আরও ১৭টির মতো গ্রিন করার কাজ চলছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেসব দেশ স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করবে, তাদের ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন ইয়ার্ড হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ও সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রিন ইয়ার্ডের অন্যতম শর্ত। গ্রিন শিপইয়ার্ড বাস্তবায়নে শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি প্ল্যান (এসআরএফপি) শিল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করতে পারে ইয়ার্ডগুলো। গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য কারখানাগুলো বিদেশি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।

চট্টগ্রামে মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রজত শংকর রায় বিশ্বাস কয়েক বছর আগে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পে কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, কফ, কাশি, বুকে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া এই শিল্পে বিপজ্জনক এজভেস্টরসহ স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর নানা ভারী ধাতু বিদ্যমান। যেগুলো শ্রমিকদের জীবনকে বিপন্ন করে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews