যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার ও মেয়র নির্বাচনে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিল নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টির কাছে ধরাশায়ী হওয়ায় তা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের পরাজয়ের ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শেষে শুক্রবার গণনা ও ফল প্রকাশ করা হয়। আংশিক প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্যার কিয়ের স্টারমারের বিরোধী লেবার পার্টি ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির তুলনায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে এবারই কনজারভেটিভরা স্থানীয় নির্বাচনে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়ল।
আংশিক ফলে এগিয়ে থাকায় কিয়ের স্টারমার ঋষি সুনাককে বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাঁর সময় শেষ। অন্যদিকে, সুনাকও স্বীকার করেছেন, ফলাফল ‘হতাশাজনক’। বিকেল পর্যন্ত ১০৭ কাউন্সিলের মধ্যে ৪৬টির ফল প্রকাশ হয়। এতে ৩৯০টি কাউন্সিলর পদে বিজয়ী লেবার পার্টি এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১৪০ কাউন্সিলর পদ। এ ছাড়া ১৪৫ কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
এই নির্বাচনে লন্ডন শহরের মেয়র পদসহ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিল ও ব্ল্যাকপুল সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সম্পূর্ণ ফল আজ প্রকাশ হতে পারে।
ব্ল্যাকপুল সাউথের উপনির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী ক্রিস ওয়েব ১০ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডেভিড জোনস পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ২১৮ ভোট।
অন্যদিকে, লন্ডন শহরের টানা তৃতীয় দফায় মেয়র হতে পারেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। আর কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হল নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডনের প্রথম নারী মেয়র।