তুরস্কের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা এক কারাবন্দী সংসদ সদস্যকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে নিম্ন আদালত বিষয়টিকে আপিল আদালতে নিয়ে যায়। প্রতিক্রিয়ায়, সর্বোচ্চ আপিল আদালতের বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়ে ফৌজদারি অভিযোগ জারি করেন। যার ফলে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সমগ্র তুরস্কজুড়ে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলো বিক্ষোভ, মিছিল ও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা “জাস্টিস ওয়াচ” নামে একটি অভিযান শুরু করেছেন। পার্লামেন্টের ফ্লোরে যতক্ষণ পর্যন্ত না এ বিষয়টি আলোচনার জন্য উত্থাপন করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান নিম্ন আদালতের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অস্থিরতা আরও বাড়িয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ হাতায়’এর প্রতিনিধি, তুরস্কের ওয়ার্কার্স পার্টির (টিআইপি) সংসদ সদস্য কান আতালে গত বছরের এপ্রিল থেকে কারাবন্দী আছেন। সে সময় এক স্থানীয় আদালত তাকে ২০১৩ সালের গেজি পার্ক বিক্ষোভে অংশগ্রহণের মাধ্যমে “সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার” অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এটাই ছিল তুরস্কের ইতিহাসে এরদোয়ানের সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
কিন্তু উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত না মেনে স্থানীয় আদালত প্রথমে আতালের মামলাটিকে দেশটির সর্বোচ্চ আপিল আদালত কোর্ট অব কাসাশনে নিয়ে যায়। এই আদালত সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখিত ৯ বিচারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে।
এই পদক্ষেপ বাহ্যত তুরস্কের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। যার ফলে বিরোধীদলের রাজনীতিবিদ সহ অনেকেই তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।