দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদক প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মামলাও করছে, আদালতে অভিযোগপত্র দিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কর্মসূচি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্নীতিবিরোধী সমন্বিত কণ্ঠস্বর দুর্নীতিকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। তাই কমিশন অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের সব মানুষকে দুর্নীতিবিরোধী প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করছে। এ জন্য কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি বৈশ্বিক সমস্যা বলেই বিশ্বব্যাপী ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে দিনটি একসময় সরকারিভাবে পালন করা হতো না। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কমিশন এটিকে সরকারিভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ নেয়। সরকার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে দিনটি সরকারিভাবে পালন করছে। দিনটি সরকারিভাবে পালন করার সিদ্ধান্তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান আরও সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, জনগণের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী গণসচেতনা তৈরিতেও কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজ যখন সমন্বিত ও সুসংগঠিতভাবে পরিচালিত হবে, তখন দুর্নীতির মাত্রাও কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়াতে কমিশনের প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, সব দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর সততা সংঘের সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, যানজট ও জনহয়রানির কারণে কমিশন এবারও কোনো র্যালি করবে না। তবে দুর্নীতিবিরোধী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, সততা সংঘের সমাবেশ, তথ্যচিত্র প্রদর্শনসহ অন্যান্য কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ ও মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
