অতি মাত্রায় ডিজিট্যাল টেকনোলজির ব্যবহার পড়ুয়াদের মধ্যে পড়ুাশোনার ইচ্ছা কমিয়ে দিচ্ছে। উলটে পরীক্ষার ব্যাপারে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলছে। শুধু তাই নয় বেড়ে যাচ্ছে নিঃসঙ্গতা, একাকীত্বের অনুভূতিও। এমটাই উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড লার্নিং পত্রিকায়।
ইউকে-র সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির গবেষক ফিল রিড বলছেন, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সমস্ত পড়ুয়ার মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের অতিরিক্ত নেশা রয়েছে, তাদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলাফল হিসাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানও খুব খারাপ।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি ২৮৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের ডিজিট্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার, অধ্যায়ণের দক্ষতা, পড়াশোনার জন্য আগ্রহ, উদ্বেগ ও একাকীত্ব ইত্যাদিকে মূল্যায়ণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এই গবেষোণায় উঠে এল, ইন্টারনেটের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, অতিরিক্ত ব্যবহার পড়াশোনার থেকেই পড়ুয়াদের দূরে করে দিচ্ছে। কমিয়ে দিচ্ছে তাদের আগ্রহ ও দক্ষতাও।
দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল পড়ুয়ারা পড়াশোনাটি গুছিয়ে করে উঠতে পারছে না। উলটে পরীক্ষাকেও বেশ ভয় পাচ্ছে, উদ্বিগ্ন থাকছে। এই আসক্তি তাদের মধ্যে একাকীত্ব বাড়াচ্ছে, সঙ্গে এই একাকীত্ব পড়াশোনাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৫% পড়ুয়া চার ঘণ্টার বেশি অনলাইন থেকেছে। বাকিরা এক থকে তিন ঘণ্টা। এই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মূলত ৪০%ই সোশ্যাল নেটিওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করছে। ৩০% তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
এই ক্ষেত্রে গবেষকরা বলেছেন, পড়াশোনায় অনীহার কারণে হিসাবে রয়েছে ইন্টারনেট আসক্তি এবং একাকীত্বের কারণে ইন্টারনেট আসক্তি বেড়ে উঠেছে। অর্থাৎ একাকীত্বই পড়াশোনার মান খারাপ করছে।
গবেষকরা বলছেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একাকীত্ব একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা, ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা তৈরি হওয়া বা না হাওয়ার ক্ষেত্রে। নিঃসঙ্গতা পড়াশোনাকে কঠিন করে তুলেছে। উচ্চ শিক্ষায় জড়িত হওয়ার ইতিবাচক ইচ্ছায় প্রভাব ফেলেছে।