উচ্চ মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এভাবে গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের চেয়ে আয় বেশি কমছে।
সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতি সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘দায়দেনা পরিস্থিতি শুধু বিদেশি ঋণ দিয়ে দেখলে হবে না। বিদেশি ঋণের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ঋণ সরকারকে দেশি উৎস থেকে নিতে হয়েছে। ঋণ পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হয়নি। সেই গর্বের জায়গায় চিড় ধরেছে। জ্বালানি খাত ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মুনাফার অর্থ পরিশোধ বাবদ প্রায় ৫০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা যায়নি। টাকার অবমূল্যায়ন সরকারের ঋণ পরিশোধের বোঝা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বলছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধি কমে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশে নেমেছে। কোভিডের পর প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় বাধা এসেছে।
চলতি অর্থবছরে সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম মনে করে, এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ১০ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।