স্পোর্টস ডেস্ক

খেলা ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার



২০১৮’র ডিসেম্বরে মরিনহোকে সরিয়ে সুলশারের কাঁধে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব তুলে দেয় ম্যানইউ। কেয়ারটেকার ম্যানেজার হিসেবে দারুণ সফল ছিলেন রেড ডেভিলদের সাবেক এই স্ট্রাইকার। ১৯৪৬ সালে ম্যাট বাবসির পর ম্যানইউর দ্বিতীয় ম্যানেজার হিসেবে প্রিমিয়ার লীগে টানা পাঁচ জয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর সব প্রতিযোগিতায় টানা ৮ অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে এই নরওয়েজিয়ান গড়েন আরেক রেকর্ড। প্রথম হার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর বিপক্ষে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে হারে ম্যানইউ। কিন্তু ফিরতি লেগে প্যারিসে ৩-০ গোলের জয়ে রেড ডেভিলরা নাম লেখায় শেষ আটে। এরপর মার্চে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান সুলশার। ধারাবাহিক সাফল্য তাকে অনেকেই স্যার ফার্গির যোগ্য উত্তরসূরি ভেবেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছেয়ে যায় সুলশার-বন্দনায়। কিন্তুএকের পর এক হারে এখন সেই সমর্থকরাই তাকে আর কোচের গদিতে দেখতে চাইছেন না। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ম্যানইউ’র ৮ হারের ৫টিই পয়েন্ট তালিকার নিচুর সারির দলের বিপক্ষে। তারা হেরেছে ১৯ নম্বরে থাকা ওয়াটফোর্ড, ১৮ নম্বরে থাকা বোর্নমাউথ, ১৭ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম, ১৪ নম্বরে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও সবশেষ ১৩ নম্বরে থাকা বার্নলির কাছে। বুধবার বার্নলির কাছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর সুলশার হঠাও রব তুলেন ম্যানইউ ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একজন লেখেন, ‘শুভ সকাল। এখন ৭টা বাজে। কিন্তু আমি এখনো শুনতে পাইনি সুলশার বরখাস্ত হয়েছে। দিনটা খুব বাজে কাটবে।’ আরেকজনের টুইট, ‘এভাবে পয়েন্ট খোয়ানোর কোনো মানে হয় না। বিরক্তিকর কোচিং!’ মাইকেল টানস্টল নামে একজন লেখেন, সুলশারের কাছে অনুরোধ করবো আপনি সঠিক কাজটি করুন- এখনই ইস্তফা দিন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে অনন্য উচ্চতায় উঠিয়ে ২০১৩তে অবসরে যান কোচ আলেক্স ফার্গুসন। কিন্তু তার পরের কোচদের কেউই রেড ডেভিলদের সাফল্য ধারা বজায় রাখতে পারেননি। ফার্গুসন যামানা শেষে যথাক্রমে ডেভিড ময়েস, লুইস ভ্যান গাল, হোসে মরিনহোর বসেন ম্যানইউ’র কোচের হট সিটে। তিনজনই ব্যর্থতায় দায় নিয়ে খোয়ান চাকরি। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির দায়িত্ব নেন ওলে গানার সুলশার। কিন্তু তার রেকর্ড ময়েস-ভ্যান গালের চেয়েও বাজে। ডেভিড ময়েসের অধীনে ২০১৩-১৪ ও লুইস ভ্যান গালের অধীনে ২০১৫-১৬ মৌসুমের প্রথম ২৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল ম্যানইউ। গত এক দশকে প্রথম ২৪ ম্যাচে এটাই ছিল তাদের সবচেয়ে কম পয়েন্ট।সুলশারের ম্যানইউ তাদের চেয়েও খারাপ ফল করেছে। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ২৪ ম্যাচে রেড ডেভিলদের সংগ্রহ ৩৪ পয়েন্ট। ৩২ ম্যাচে ১১ জয়, ১২ হার ও ৯ ড্র দেখেছেন সুলশার। জয়ের শতকরা হার ৩৪ শতাংশ। অথচ সমান সংখ্যক ম্যাচে তার পূর্বসূরি হোসে মরিনহোর জয়ের শতকরা হার ছিল ৫০ শতাংশ। মরিনহো ১৭ জয়, ১২ ড্র ও মাত্র ৩ হার দেখেন।২০১৮’র ডিসেম্বরে মরিনহোকে সরিয়ে সুলশারের কাঁধে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব তুলে দেয় ম্যানইউ। কেয়ারটেকার ম্যানেজার হিসেবে দারুণ সফল ছিলেন রেড ডেভিলদের সাবেক এই স্ট্রাইকার। ১৯৪৬ সালে ম্যাট বাবসির পর ম্যানইউর দ্বিতীয় ম্যানেজার হিসেবে প্রিমিয়ার লীগে টানা পাঁচ জয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর সব প্রতিযোগিতায় টানা ৮ অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে এই নরওয়েজিয়ান গড়েন আরেক রেকর্ড। প্রথম হার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর বিপক্ষে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে হারে ম্যানইউ। কিন্তু ফিরতি লেগে প্যারিসে ৩-০ গোলের জয়ে রেড ডেভিলরা নাম লেখায় শেষ আটে। এরপর মার্চে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান সুলশার। ধারাবাহিক সাফল্য তাকে অনেকেই স্যার ফার্গির যোগ্য উত্তরসূরি ভেবেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছেয়ে যায় সুলশার-বন্দনায়। কিন্তুএকের পর এক হারে এখন সেই সমর্থকরাই তাকে আর কোচের গদিতে দেখতে চাইছেন না। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ম্যানইউ’র ৮ হারের ৫টিই পয়েন্ট তালিকার নিচুর সারির দলের বিপক্ষে। তারা হেরেছে ১৯ নম্বরে থাকা ওয়াটফোর্ড, ১৮ নম্বরে থাকা বোর্নমাউথ, ১৭ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম, ১৪ নম্বরে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও সবশেষ ১৩ নম্বরে থাকা বার্নলির কাছে। বুধবার বার্নলির কাছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর সুলশার হঠাও রব তুলেন ম্যানইউ ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একজন লেখেন, ‘শুভ সকাল। এখন ৭টা বাজে। কিন্তু আমি এখনো শুনতে পাইনি সুলশার বরখাস্ত হয়েছে। দিনটা খুব বাজে কাটবে।’ আরেকজনের টুইট, ‘এভাবে পয়েন্ট খোয়ানোর কোনো মানে হয় না। বিরক্তিকর কোচিং!’ মাইকেল টানস্টল নামে একজন লেখেন, সুলশারের কাছে অনুরোধ করবো আপনি সঠিক কাজটি করুন- এখনই ইস্তফা দিন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews