ভালো হজমশক্তি মানেই সুস্থ জীবনযাপন। শরীর ঠিকমতো কাজ করতে হলে প্রয়োজন খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণের সঠিক প্রক্রিয়া-আর তার জন্য চাই কার্যকর হজমব্যবস্থা। কিন্তু হজমে গড়বড় হলেই দেখা দেয় গ্যাস, পেট ফাঁপা, অলসতা কিংবা সার্বক্ষণিক অস্বস্তি। তবে চিন্তার কিছু নেই। বাড়িতেই কয়েকটি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি সহজেই হজমশক্তিকে মজবুত করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কার্যকর কিছু পদ্ধতি—
সকালের শুরু হোক শরীরচর্চায়
দিনের শুরুটা যদি কিছুটা শরীরচর্চা দিয়ে হয়, তাহলে অন্ত্রে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, পেটের পেশি সক্রিয় হয় এবং হজম প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়। হাঁটা, হালকা জগিং বা যোগব্যায়াম-যেকোনো কিছু হতে পারে শুরু। নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, হজম ব্যবস্থাকেও রাখে সজীব।
খাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা
আদা শরীরের প্রাকৃতিক হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। খাওয়ার আগে এক কাপ উষ্ণ আদা চা গ্যাস্ট্রিক রস উৎপাদনে সহায়তা করে, যা খাবার ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। এতে খাবার সহজে হজম হয় এবং পেটের অস্বস্তি হ্রাস পায়।
দুপুরের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় জানুন
দেহঘড়ি অনুযায়ী দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে হজমের ক্ষমতা সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে। এই সময়টাতে পেটের পাচনক্রিয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করে, ফলে বড় ও সুষম খাবার এই সময় খাওয়া হলে তা সহজে পরিপাক হয়। চেষ্টা করুন এই সময়টাতেই দিনের প্রধান খাবারটি গ্রহণ করতে।
খাবারের পর পুদিনা চা
ভরা পেটের অস্বস্তি, গ্যাস বা পেট ফাঁপা-এই সব সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে এক কাপ পুদিনা চা। খাবার শেষে পুদিনা চা পান করলে তা পরিপাকতন্ত্রকে শিথিল করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে গতি দেয়। এটি পেটকে স্বস্তি দেয় এবং হজমে সহায়ক হয়।
খাবার খান ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে
শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কীভাবে খাচ্ছেন-তাও গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত খেলে ঠিকভাবে চিবানো হয় না, যার ফলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিটি খাবার চিবিয়ে ধীরে ধীরে খেলে লালারস খাদ্য ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, এবং অন্ত্রে চাপ পড়ে না। ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ মানে শুধু শরীর নয়, মনকেও প্রশান্ত রাখা।
জেএস/এএসএম