জার্মানির অ্যাপল, গুগল স্টোর থেকে সরানো হতে পারে ডিপসিককে
এ ধরনের অ্যাপ ইউরোপের তথ্য সুরক্ষা আইনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ছবি: রয়টার্স
এ ধরনের অ্যাপ ইউরোপের তথ্য সুরক্ষা আইনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ছবি: রয়টার্স
জার্মানির অ্যাপল ও গুগল স্টোর থেকে সরানো হতে পারে ডিপসিককে। চীনা এআই অ্যাপ দেশটির তথ্য সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জার্মানির একজন তথ্য সুরক্ষা কর্মকর্তা।
ডিপসিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি আইফোনের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপল ও মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগলকে জানিয়েছেন ওই নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। তার দাবি, অ্যাপটি অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনে পাঠাচ্ছে।
বার্লিনের তথ্য সুরক্ষা ও তথ্যের স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশনার মেইকে কাম্প অ্যাপল ও গুগলকে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-এর আইন অনুসারে, ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে কোনও ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ দিতে পারেনি ডিপসিক।
“চীনের বিভিন্ন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ব্যাপক প্রবেশাধিকার রয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষের। ডিপসিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত তথ্যে সহজেই প্রবেশ করতে পারে চীন।”
এ ধরনের অ্যাপ ইউরোপের তথ্য সুরক্ষা আইনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে উল্লেখ করে কাম্প বলেছেন, এখন অ্যাপল ও গুগলকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং প্রয়োজনে ডিপসিককে তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে সরাবে কি না সে সিদ্ধান্তও নিতে হবে তাদের।
কাম্প বলেছেন, তার দপ্তর ডিপসিককে অনুরোধ করেছিল, তারা যদি ব্যবহারকারীর তথ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে পাঠাতে চায় তাহলে যেন ইইউ-এর আইন মেনে চলে। অন্যথায় অ্যাপটিতে জার্মানি থেকে সরিয়ে নিতে হবে তাদের। তবে এই নির্দেশনা মেনে চলেনি চীনা কোম্পানিটি।
এ বছরের শুরুতে একই ধরনের ডেটা সুরক্ষা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ইতালি নিজেদের দেশের অ্যাপ স্টোর থেকে ডিপসিককে নিষিদ্ধ করেছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।
ডিপসিক সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোক্তা প্রাইভেসি সুরক্ষা সংগঠন দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে। প্রথমটি হচ্ছে, এ পরিষেবাটি চীনে তৈরি ও সেখান থেকেই পরিচালিত হয়। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, অ্যাপটির প্রাইভেসি পলিসি অনুসারে, ডিপসিক যেসব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে সেগুলো চীনের ভেতরেই রাখে কোম্পানিটি।
এসব তথ্য থেকে ইঙ্গিত মেলে, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চীনা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পরিবেশে সংরক্ষিত হচ্ছে, যা ইইউ-এর কঠোর ডেটা প্রোটেকশন নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য টেকক্রাঞ্চের অনুরোধে সাড়া দেয়নি অ্যাপল ও গুগল।