চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় বেঙ্গালুরু বিপক্ষে ২৮৭ রান তুলেছিল হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছিল কোহলিরা। দ্বিতীয় দেখায় সেই হারের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের নবম ম্যাচে উড়তে থাকা হায়দ্রাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে কোহলি-কার্তিকরা। সেই সঙ্গে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেলো বেঙ্গালুরু।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। এতে টানা চার জয়ের পর হারের স্বাদ পেলো হায়দ্রাবাদ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের ষষ্ঠ বলে সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। ১৩ বলে ৩১ রান আউট হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এইডেন মারক্রামও। ৮ বলে ৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।

হেইনরিচ ক্লাসেন (৭), নিতিশ কুমার (১৩) এবং ৬ বলে ১০ রান করে আব্দুল সামাদ আউট হলেও দলীয় ৮৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ।



এরপর শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অজি ব্যাটার। ১৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার।

এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৩৭ বলে ৪০ রানে শাহবাজ অপরাজিত থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি হায়দ্রাবাদের। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে স্বপনীল সিং, কারান শর্মা ও ক্যামেরুন গ্রিন দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও উইল জ্যাক এবং যস দয়াল নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ১২ বলে ২৫ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইল জ্যাক। ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ইংলিশ ব্যাটার।



এরপর পিচে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রজত পাতিদার। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন রজত। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি।

ফিফটির বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি কোহলিও। ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এরপর মাহিপাল লোমরোরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ক্যামরুন গ্রিন। কিন্তু ৪ বলে ৭ রান করে আউট মহিপাল।

৬ বলে ১১ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিকও। শেষ পর্যন্ত স্বপনীল সিংয়ের ৬ বলের ১২ রান এবং গ্রিনের ২০ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews