হাওরের এই জেলায় একসময় হাসন রাজা ছাড়াও আরও অনেক জমিদার রাজত্ব করেছেন। এখন জমিদারি নেই, নেই জমিদারও। তবে কালের সাক্ষী হয়ে আছে তাঁদের বাড়ি, মহল। এগুলো ঘুরলে ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি যে কারও টান বাড়বে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং জমিদারবাড়ি, ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় জমিদারবাড়ি, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও জমিদারবাড়ি, দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া জমিদারবাড়ি, তাহিরপুরের হলহলিয়া জমিদারবাড়ি, দোয়ারাবাজার উপজেলা দোহালিয়া জমিদারবাড়িতে অনেকেই ঘুরতে যান।
সুনামগঞ্জে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত দুটি ঐতিহাসিক স্থান আছে। একটি হলো সদর উপজেলা সীমান্তবর্তী ডলুরা, অন্যটি দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা (হকনগর)। একেবারে সীমান্তঘেঁষা ছায়াময় ডলুরায় একই স্থানে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ জন বীর শহীদের সমাধি। এলাকাটি বেশ মনোরম। সমাধি এলাকাতেই আছে পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা। পাশেই সুনামগঞ্জের প্রথম সীমান্ত হাট। এখন যদিও হাট বন্ধ। সমাধি এলাকার পশ্চিমে চলতি নদী। দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী টিলায় ঘেরা বাঁশতলা এলাকাটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল মুক্তিসেনাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এই এলাকার তিন দিকে ভারত। এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১৭ জনের সমাধি। এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ স্মৃতিসৌধ আছে। পাশেই পাহাড়ের ওপর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গ্রাম ঝুমগাঁও। পরিচ্ছন্ন সাজানো–গোছানো গ্রামটি দেখতে অনেকেই সেখানে যান। শহীদ সমাধি এলাকায় পর্যটকদের জন্য একটি গেস্টহাউস নির্মাণ করা হয়েছে।