বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রের ও মানুষের অধিকারের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

সম্প্রতি নয়া দিল্লি সফরে করে আসা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রভাবশালী প্রতিবেশী এই দেশ সুখে-দুঃখে বাংলাদেশের পাশে থাকবে, তবে নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না তারা।

তার এই বক্তব্যে অসন্তোষ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের একটা বড় টিম গিয়েছিল আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য। খুব ভালো কথা। আমরা এই ধরনের সফরকে এনকারেজ করি। এতে দুই দেশের মানুষের মধ্যে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।

“কিন্তু সফর শেষে এসে কী বলছেন? এসে বললেন, ভারত বলেছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা ইন্টারফেয়ার করবে না। কথাটার অর্থ কী?  কেউ কী বলেছে যে, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে? উনাকে (ওবায়দুল কাদের) কি ভারত দায়িত্ব দিয়েছে এই কথাটা বলার? এই দায়িত্ব তিনি কার কাছ থেকে পেলেন যে, ভারতের পক্ষ নিয়ে বলছেন যে, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে ইন্টারফেয়ার করবে না?”

এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘বড় সমস্যার’ সৃষ্টি করেছেন বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব।

“কারণ ভারতের পক্ষে কথার বলার অধিকার তো তাকে কেউ দেয়নি। তিনি যে কথা বলেছেন তা গোটা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।”

প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সব সময় মনে করি যে, ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকট বন্ধুরাষ্ট্র। কারণ মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা আমরা স্বীকার শুধু নয়, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং আমরা মনে করি যে, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বাংলাদেশের স্বার্থে।

সেই সুসম্পর্কের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব: “যখন কোনো রাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে, মানুষকে দমন পীড়ন করা হয়, যখন প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয় তখন যেন তারা সোচ্চার থাকেন, জনগণের পক্ষে থাকেন-সেটাই হচ্ছে ভালো সম্পর্ক।”

শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গ মির্জা ফখরুল বলেন, “আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আওয়ামী লীগ, আমরা খুব খুশি হব। তবে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেন, জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় আসেন।

“জনগণ ভোট দিক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আসেন, আমাদের কারও আপত্তি নাই। কী কারণে দেশনেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখেছেন একটা মিথ্যা সাজানো মামলায়?”

বিএনপি চেয়ারপারসন বাইরে থাকলে আগামী কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ‘সম্ভাবনা  নেই’ বলে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

“আমরা সরকারকে সুস্পষ্টভাষায় বলতে চাই, দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে নির্বাচনের চিন্তা করবেন না, সেটা হবে না,” বলেন ফখরুল।

‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আবারও আহবান জানান তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিকের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের সভাপতি দিলীপ কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, দীপেন দেওয়ান, জন গোমেজ, রমেশ দত্ত, সুশীল বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, চন্দ্র গুপ্ত বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews