কোনো দলকে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ করলে সেটাকে বলা হয় ‘বাংলাওয়াশ’। অতীতে পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ের মতো দলের পাশাপাশি চলতি সিরিজের স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকেও এই বাংলাওয়াশের স্বাদ দিয়েছিল টাইগাররা। আর এবার কিউইদের মাটিতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশের মুখোমুখি মাশরাফিরা। এমন না যে এই প্রথম হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এই প্রথম পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এই দলটির কাছে এবার প্রত্যাশা ছিল বেশি। যাই হোক, সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে ‘কিউইওয়াশ’ থেকে কি রক্ষা পাবে টাইগাররা, সমর্থকদের মনে এই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে।

এরইমধ্যে ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাকি ম্যাচটি তাই তাদের জন্য বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবানোর সুযোগ। বিশ্বকাপের আগে দুই সর্বশেষ এই ওয়ানডে সাক্ষাতে জয় পেতে চাইবে টাইগাররাও। কিন্তু দলে ইনজুরি, টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আর কিউই কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারা মিলিয়ে জয় পাওয়াটা এখন কঠিন এক ব্যাপার। তবে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এই একটা জন টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অতি জরুরী।

বাংলাদেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ প্রথম দুই ম্যাচ ফিফটি পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনের ইনজুরি। টেস্ট সিরিজের আগে তার ফেরার কোনো সুযোগ নেই। তার বদলে দলে এসেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। তবে একটা সুসংবাদও আছে। মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তা আপাতত কেটে গেছে। তাই বুধবারের (২০ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচে তাকে পাচ্ছে দল। 

তবে বাংলাদেশের মূল চিন্তা টপ অর্ডার। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এখনো নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। লিটন দাসও তাই। সাব্বির তবু এক ম্যাচে কিছু রান পেলেন। বাজে অবস্থা মিডল অর্ডারেরও। মিঠুন ছাড়া মুশফিক বা মাহমুদউল্লাহ কেউই রানের দেখা পাননি। এখন মিঠুনও গেলেন। তার মানে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। 

বোলারদের অবস্থাও সঙ্গিন। একমাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া কারো বলই কার্যকর প্রতীয়মান হয়নি। অধিনায়ক মাশরাফিও ফর্মের সঙ্গে লড়াই করছেন। স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজও তেমন কিছুই দিতে পারছেন না। শফিউল সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। সবমিলিয়ে এক ভজঘট অবস্থা।

তুলনামূলকভাবে নির্ভার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এজন্য তৃতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। দলে ঢুকছেন কলিন মুনরো। কিউইদের একটাই সমস্যা প্রথম ৪ ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউ ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছেন না। দুই ম্যাচেই ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এটা যদিও মধুর সমস্যা। তবে বিশ্বকাপের আগে এটাই তাদের শেষ ওয়ানডে। ফলে ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতি নিয়েই ভাবছে কিউইরা। 

তবে কিউইদের স্বস্তি মার্টিন গাপটিলের দুর্দান্ত ফর্ম। দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো গাপটিলই তাই টাইগারদের জন্য বড় সমস্যা। স্বাগতিকদের বোলাররাও আছেন দারুণ ফর্মে। ট্রেন্ট বোল্ট আর লোকি ফার্গুসন মিলেই এই সিরিজে ৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন।

বিশ্বকাপের দল গঠনের আগে ডানেডিনের এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। টপ অর্ডার আর বোলাররা যদি জ্বলে ওঠতে না পারেন তাহলে এই ম্যাচ হেরে ‘কিউইওয়াশ’র মুখোমুখি হতে হবে টাইগারদের। এমনটা না হোক, টাইগারভক্তদের এটাই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান।

নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ

ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, লোকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, কলিন মুনরো, জিমি নিশাম, হেনরি নিকোলস, রস টেইলর।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯

এমএইচএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews