পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করলে কমান্ডারদের পালটা জবাব দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান।ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) এ একটি পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র (এডিজি পিআই) ওই পোস্টে লিখেছেন, ২০২৫ সালের ১০-১১ মে রাতে যুদ্ধবিরতি এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সেনাবাহিনী প্রধান ১০ মে ডিজিএমও আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, তারা (পাকিস্তান) যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জবাব দিতে সেনা কমান্ডারদের পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছেন।
এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি শনিবার গভীর রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে, আমরা যে চুক্তিতে পৌঁছেছি তা বারবার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুরে’ তাদের ভাষায় ‘একশোরও বেশি সন্ত্রাসবাদী’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
আরও পড়ুন- তুরস্ক কেন প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে
ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) লে. জেনারেল রাজীব ঘাই রোববার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
গতকাল (শনিবার) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হওয়ার পর ভারতের সামরিক বাহিনীর তরফে এটাই ছিল প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন।
এই প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিজিএমও লে. জেনারেল রাজীব ঘাই ছাড়াও ভারতের স্থলবাহিনীর তরফে মেজর জেনারেল এস এস সারদা, বিমান বাহিনীর তরফে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী এবং নৌবাহিনীর তরফে ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুরে’র নানা দিক নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
লে. জেনারেল রাজীব ঘাই বলেন, ৭ মে ভারতীয় সেনা সঠিক নিশানায় কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ইউসুফ আজহার, আবদুল মালিক রউফ এবং মুদসসির আহমেদ-এর মতো ‘হাই ভ্যালু টেররিস্ট’ও আছে।
তিনি আরও দাবি করেন, এই তিন ব্যক্তিই ১৯৯৯তে আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ আর ২০১৯-এ পুলওয়ামার হামলায় জড়িত ছিল।