সুস্থ থাকতে শরীর ও মনকে কর্মক্ষম রাখা, ধূমপান না করা এবং ঘৃণাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার পরামর্শ দেন ডা. হাওয়ার্ড। খাবারদাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হতে হবে স্বাস্থ্যসচেতন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। গোটা শস্যের তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর।
সকালে ৮৯ বছর বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বসে তাজা ফল আর টোস্ট খেয়ে দিন শুরু করেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দুপুরেও খুব একটা বেশি খান না। রাতে খান মাছ বা মুরগির সঙ্গে সবজি বা সালাদ। কোনো কোনো রাতে স্টেকও খান। এক শ পেরিয়ে এসে অবশ্য আইসক্রিম আর ডোনাটের প্রতি একটু ঝুঁকেছেন বলে স্বীকার করলেন। তবে তরুণ বয়সে এ ধরনের খাবার কমই খেতেন।
একেবারে কঠিন নিয়ম করে ধরাবাঁধা ডায়েটে অবশ্য বিশ্বাসী নন ডা. হাওয়ার্ড। তবে জীবনে পরিমিতিবোধ জরুরি বলেই মানেন। আগের মতো কঠিন ব্যায়াম এখন করতে পারেন না ঠিকই, তবে সময় করে যেকোনো ব্যায়াম করাটা জরুরি বলে জানালেন।
এখনো যতটা পারেন, তুষারের মাঝে আনন্দ করেন ছোটদের সঙ্গে। স্ত্রীর সঙ্গ দারুণ উপভোগ করেন। জানালেন, সুস্থ থাকতে বন্ধুত্বও জরুরি। বয়সে ছোট বন্ধুরাও তাঁকে উজ্জীবিত রাখেন।
সুস্থ থাকতে একজন মানুষের কাজের ধরনটাও গুরুত্বপূর্ণ। যে কাজ কারও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তা ছেড়ে দিয়ে নিজের উপযুক্ত নতুন কোনো কাজের খোঁজ করাই তাঁর পরামর্শ।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক