সংখ্যালঘু হামলার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর-১০-এর সেনপাড়া পর্বতায় ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলে আন্তঃমাণ্ডলিক বড়দিন উদযাপন কমিটি আয়োজিত প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, আগামী বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনে নির্বাচন। কিছু কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতে পারে। সবাইকে আমি বলব, যাতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তারা বিপদে পড়লে দেশ বিপদে পড়বে। তাই এটা হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, সবার ভোটের মূল্য সমান। খ্রিস্টান, সনাতন এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের কেউ নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। মুসলমানের ভোটের মূল্য বেশি, আপনার কম, এরকম কিছু নয়। আপনারা ইনফিওরেটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না।
তিনি আরও বলেন, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটায়। তারা আওয়ামী লীগের নয়। কোনো দলের নয়। এরা দুর্বৃত্ত। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। না হলে তারা সুযোগ নেবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসি সম্ভাব্য শিডিউল খুব শিগগিরই জানাবেন। এক্ষেত্রে আমাদের প্রার্থী অনেক। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকও ছিলেন তাই। তার মেয়র নির্বাচন করা, বিজয়ী হওয়া ছিল একটা সারপ্রাইজ। তিনি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন। আমরা ডিএনসিসি নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দেব। নেত্রীর এবং দলের একটি জরিপ চলছে। যিনি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন, তাকে নমিনেশন দেয়া হবে।
রংপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তিনি দলেরই লোক। আমাদের প্রার্থিতার মধ্যে কোনো গোপনীয়তা নেই। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে যায় নাই, যে গোপনীয়তা করবে। যারা এ ধরনের উদ্ভট অভিযোগ করেন তারা হাস্যকর কাজ করছেন। নির্বাচনে হার, জিত আছে। তবে আমাদের টার্গেট গণতন্ত্রকে বিজয়ী করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুর সিটি নির্বাচন হলো রাজনীতির মাঠে সেমিফাইনাল। হারলে বা জিতলে, ফলাফল যাই হবে তাই মেনে নেবে দল।
চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী পদলিত হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন তিনি।