গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে কঠোর নীতিগত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলি বিশ্লেষক এবং বার ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন।
তার মতে, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক নিন্দা দিয়ে ইসরাইলকে গাজায় ‘গণহত্যা ও অনাহার’ চালানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। এই ধ্বংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপই এখন সময়ের দাবি।
পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লেইন বলেন, ‘যা প্রয়োজন তা হলো এই ইসরাইলি নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। আর এক্ষেত্রে একমাত্র কার্যকর উপায় হলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।’ তিনি ইঙ্গিত দেন যে ইসরাইলের অভ্যন্তরে কিছু নাগরিক সমাজ সংগঠন এ নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও তাদের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত এবং প্রভাবও কম।
ইসরাইলি সমাজের সামগ্রিক চরিত্র সম্পর্কেও কড়া মন্তব্য করেন অধ্যাপক ক্লেইন। তার ভাষায়, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, ইসরাইলি সমাজ একটি গণহত্যামূলক সমাজ। এটি গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর প্রায় দুই বছর ধরে চলমান অমানবিকীকরণের চূড়ান্ত ফলাফল।’
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে তিনি শুধু যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে নয়, বরং একটি পরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী দমননীতির পরিণতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, ইসরাইলি সরকারের নীতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এটি বন্ধ করতে হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কেবল বিবৃতি দিয়ে নয়, কঠোর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে এগোতে হবে।
সূত্র : আল জাজিরা