বয়স যখন ২০, তখনকার সময়টাই যেন সবচেয়ে ভালো, যা খুশি তাই-ই খাওয়া যায়। কিন্তু বয়স ৩০-এর কোটায় পা রাখলেই একটু যেন হিসাব কষতে হয়। কারণ এ সময় থেকেই এমনভাবে খাদ্যতালিকা সাজাতে হয়, যেখানে শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবার তো থাকবেই, পাশাপাশি কিছু খাবার ছাঁটাই করতে হয় খাদ্যাভ্যাস থেকে। বয়স ৩০-এর পর থেকে যেসব খাবার গ্রহণ থেকে দূরে থাকতে হবে সেগুলো হলো—

ফ্লেভার দেয়া দই: বয়স ৩০-এর পর কোলাজেন ধীরগতিতে উত্পন্ন হয়। কমে যায় ত্বকের এলাস্টিসিটি। ফ্লেভার দেয়া দইয়ে চিনির মাত্রা বেশি থাকে বিধায় তা ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে। তাই এ সময় থেকেই চিনি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দিতে হবে, যাতে ত্বক টানটান ও বলিরেখামুক্ত রাখা সহজ হয়। শুধু এ ধরনের দই-ই নয়, পাশাপাশি ক্যান্ডি, কুকি, ক্যাচআপ ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যদি মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ থেকেই থাকে, তাহলে কয়েক টুকরা মিষ্টি ফল দিয়েই স্ন্যাকস পর্ব সেরে নিন। সেক্ষেত্রে ঘরে সবসময়ের জন্য রাখতে পারেন কলা। খেতে সুস্বাদু পাশাপাশি এটি ত্বক ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ভালো।

কোলা: কোলা ছাড়া যাদের একদিনও চলে না, তারা বয়সের ঘড়িটায় চোখ বুলিয়েছেন কি? বয়স ৩০-এর পর খাদ্যতালিকা ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। কোলা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ক্যান্সার উৎপাদনকারী উপকরণ। তাছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি।

আইসড কফি: সারা দিন সূর্যরশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তার অনেকটাই ঠিক হয়ে যায় রাতে ঘুমানোর সময়। কিন্তু গরমে আরাম পেতে যখন আইসড কফি পান করা হয়, তখন ক্ষতি হয় দুভাবে। প্রথমত, স্ট্র দিয়ে পান করার ফলে তা ঠোঁটের আশপাশে বলিরেখা ফেলতে পারে। দ্বিতীয়ত, কফির মধ্যকার ক্যাফেইন রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় বলে ত্বক সেভাবে সুস্থতা ফিরে পায় না। তাই ক্লান্তি কাটাতে আইসড কফি না পান করে গরম গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টি ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করে ও ত্বকের এলাস্টিসিটি ধরে রাখে। পাশাপাশি যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও উপকারী গ্রিন টি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews