গোড়ালির ইনজুরিতে ভোগা তাসকিন আহমেদ গত দুই মাস ধরে মাঠের বাইরে। এদিকে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ছিটকে গেছেন আঙুলে চোট পেয়ে। তার ওপর ট্রমার শিকার তরুণ পেস সেনসেশন নাহিদ রানা নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তান সফর থেকে। বলা যায়, পেস আক্রমণে একটা বড় শূন্যতা নিয়ে লাহোরে আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি ২০ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। রাত ৯টায় শুরু ম্যাচ সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টসে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সদ্যসমাপ্ত তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজ ২-১ এ হেরে আসা লিটন দাসের বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, এটাই প্রত্যাশিত। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের আশা, পেস আক্রমণে অন্য যারা আছেন, তারা তাসকিন-মোস্তাফিজ-নাহিদ ত্রয়ীর অভাব বুঝতে দেবেন না। সোমবার লাহোরে প্রাক-সিরিজ সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স স্বীকার করতে কুণ্ঠিত হননি যে, ‘সিনিয়র পেসারদের মিস করবে দল।’
মোস্তাফিজের জায়গায় দলে এসেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। তার সঙ্গে পেস আক্রমণ সামলাবেন শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে যাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ চোটাক্রান্ত সৌম্য সরকারের বদলি হিসাবে দলে যুক্ত হয়েছেন। পাকিস্তান দলে নেই বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং পিএসএল চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এদিকে এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ছাড়াই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডিআরএসের না-থাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এর আগে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে পিএসএলের বাকি অংশতেও ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ। এই সিরিজে বল ট্র্যাকিং, আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি না থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করতে হবে দুই দলকে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল স্টাফ এই মুহূর্তে পাকিস্তানে নেই। সে কারণে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৮, ২৯ মে ও ১ জুন সিরিজের তিন টি ২০ ম্যাচে এই প্রযুক্তি থাকছে না। বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দলকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের ক্যারিবিয়ান কোচ সিমন্স বলেন, ‘পাকিস্তানে খেলাটা উপভোগ করেছি। আমি করাচিতেও (পিএসএল) খেলা উপভোগ করেছি। সবসময় এখানে আসার জন্য মুখিয়ে থাকি।’ এই সিরিজের প্রস্তুতি হিসাবে আরব আমিরাতে দুটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। পরে আরও একটি ম্যাচ যোগ হয়। প্রথম ম্যাচ জিতলেও শেষ দুই ম্যাচে হেরে যায় লিটন দাসের দল। পাকিস্তান সফরে তাই চ্যালেঞ্জ বেশি। সিমন্স বলেন, ‘আরব আমিরাতে সিরিজ হারাটা কঠিন। কখনো কখনো এমন কিছু আপনাকে চাঙা করে তোলে, আশা করি আমাদের দলকেও এবার তা করবে।’ পাকিস্তানকে হারানোর জন্য এটাই সেরা সময় কিনা, এমন প্রশ্নে সিমন্সের উত্তর, ‘আমি জানি না পাকিস্তানকে এই ফরম্যাটে হারানোর জন্য এটাই সেরা সময় কিনা। আমার মনে হয়, এটা আমাদের সেরাটা দেওয়ার সময়। পাকিস্তান সবসময় ভয়ংকর দল। তারা আজ খারাপ খেললে কাল ভালো খেলবে। পাকিস্তান পাকিস্তানই।’