হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন কোরবানির ঈদের পশুর হাটগুলো মোটামোটি জমে উঠলেও খামারগুলোতে এখন চলছে পশু দেখাদেখি ও দরদাম। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে পশু কেনার সুবিধা থাকায় গত কয়েক বছর ধরে খামারের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। বড় আকৃতির গরুগুলোই খামারের মূল আকর্ষণ।

শায়েস্তাগঞ্জে সবচেয়ে বড় গরুগুলো হচ্ছে ‘জিল্লু’, ‘সুলতান’ ও ‘ডন’। যা স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের জবরু মিয়া এগ্রো ফার্মে খামারি তারেকুল ইসলাম সুজন এক বছর ধরে শাহিওয়াল জাতের ষাড় তিনটিকে পরম যত্নে লালন-পালন করছেন।
খামার মালিকের দাবি, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়গুলোকে। খাবারের তালিকায় রয়েছে গমের ভুসি, ডালের ভুসি, ধানের গুঁড়া, খইল, খড় ও ঘাস। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০০-৯০০ টাকার খাবার লাগে গরুগুলোর। প্রায় প্রতিদিনই আগ্রহী ক্রেতা ও কৌতুহলী জনগণ সুজনের খামারে ‘জিল্লু’, ‘সুলতান’ ও ‘ডন’-কে দেখতে আসেন।

ফার্মের পরিচালক সুজন বলেন, ‘বরবাদ’ সিনেমার আলোচিত চরিত্র অনুযায়ী বড় গরুটির নাম ‘জিল্লু’ রেখেছি। এছাড়া দেখতে সুন্দর হবার কারণে অপর দু’টির নাম রেখেছি ‘সুলতান’ ও ‘ডন’। ‘জিল্লু’র ওজন প্রায় ২০ মণ। ‘সুলতান’ ও ‘ডন’-এর ওজন হবে ১৮ ও ১৬ মণ করে। জিল্লুর দাম চাওয়া হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার গোসল করানো লাগে এদেরকে। আমার ধারণা, হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে আমাদের ‘জিল্লু’ সবচেয়ে বড় গরু হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আব্দুল কাদের আমার খামার পরিদর্শন করেছেন।’

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. আবু সাঈম বলেন, ‘সুজন গত সাত বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে গরু চাষ করছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়গুলো লালন-পালন করা হয়েছে। আশা করছি, খামারি কাঙ্ক্ষিত দামে ষাড়গুলো বিক্রি করতে পারবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews