এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

নতুন ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভবন মালিককে এসটিপি (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ) নিশ্চিত করার শর্ত যুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

তিনি বলেন, এসটিপি ছাড়া ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। কেননা আবর্জনাকে দূর করতে এটির কোনো বিকল্প নেই। আমি এরই মধ্যে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাগুলোকে ভবনের নকশা অনুমোদনের সময় এসটিপি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছি।

শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল মসজিদের সেমিনার কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমবায় সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়রকেও এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে তাগিদ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের এক থেকে তিন নম্বরে থাকে। এ অবস্থায় আমরা কেউই শান্তিতে থাকতে পারবো না।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, আবাসন মানুষের খুবই কাঙ্ক্ষিত বিষয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা আমাদের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, ছিন্নমূল ও খেটে-খাওয়া মানুষ যারা আছেন তাদেরও নিজস্ব আবাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। যার কারণে তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তুলছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসিং হাউজিং প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার করে মন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর খুবই সংকুচিত শহর হয়ে গিয়েছে। এটি সুস্থভাবে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে। আমি নির্বাচনের সময় শহরটিকে তিতাসের পূর্ব পাড়ে সম্প্রসারিত করার যে অঙ্গীকার করেছিলাম, সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া কুরুলিয়া খালের দক্ষিণ তীরে অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই এটি কাজ শুরু করতে পারব।

তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমার বহুদিনের শ্রমের বিনিময়ে এলজিআরডির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে মেড্ডা থেকে শিমরাইল কান্দির কুরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে, আপনাদের দোয়া থাকলে শিগগিরই এটি পাস হবে। চলতি বছরের মধ্যে শহরে শিশু পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আমরা করব, তবে এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো ধরনের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি হাউজিং সোসাইটির প্লট গ্রহীতাদের মধ্যে প্লটের দলিল হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews