মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গবাদি পশু পালনে স্থানীয় খামারিরা। সময় বদলে যাওয়ায় এখন বাড়ি বাড়ি গরু-ছাগল পালন করছেন নারী খামারি ও উদ্যোক্তারা। এখন কুরবানিতে বাইরের দেশের ওপর নির্ভরতা নেই বললেই চলে। আশা করা যাচ্ছে এবার কুরবানির অর্থনীতি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সোমবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) থ্রিডি সেমিনার হলে ‘দেশীয় পশুতে কুরবানি : পশু ও চামড়া ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএ জেএফ)।
উপদেষ্টা বলেন, এবার কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সরকার বিনামূল্যে লবণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও লাল তীর লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের পরিচালক তাবিথ আউয়াল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, কৃষিবিদ গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল প্রমুখ।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এক পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তৃতা করেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরিয়া আখতার জাহান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিস মিওরা মারি, ঋরখঊচ প্রজেক্টের প্রধান উপদেষ্টা সুগিয়ামা শুঞ্জি।