অধিকৃত পশ্চিমতীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা চরম পানি সঙ্কটে ভুগছে। এখন এক ফোঁটা পানির উপরও তাদের দখল নেই। পানির সব উৎস ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে।
বেথলেহেমভিত্তিক ফিলিস্তিনি পরিবেশবাদী সংস্থা অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ জেরুজালেমের পরিচালক জাদ আইজ্যাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাদ আইজ্যাক আল জাজিরাকে জানান, ‘ফিলিস্তিনি পানি কর্তৃপক্ষের ‘এক ফোঁটা পানির’ উপরও কোনো কর্তৃত্ব নেই। পশ্চিমতীর ও গাজার সব পানির উৎসই ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এটি ১৯৬৭ সাল থেকেই তারা নিয়ন্ত্রণে ধরে রেখেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইলিদের অনুমতি ছাড়া আমরা কূপ খনন বা পানির পাইপ স্থাপন করতে পারি না। আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত পানির পরিমাণ এতই অপ্রতুল যে তা ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম চাহিদাও মেটাতে পারে না।’
অধিকৃত পশ্চিমতীরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা পানি সরবরাহকে আরো জটিল করে তুলছে। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এসব হামলার কারণে তাদের নিজ গ্রামে বসবাস করাই দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
জাদ আইজ্যাক উল্লেখ করেন, ‘১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন থেকেই তারা আদর্শিক বা ঐতিহাসিক কারণে নয়, বরং পানিপ্রবাহের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।’
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জলাশয়, বিশেষ করে প্রাকৃতিক স্প্রিংগুলোতে ৪৫টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা শুধু পানি সরবরাহই নয়, ফিলিস্তিনিদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই পরিস্থিতি ইসরাইলি দখলদার নীতির একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত, যা ফিলিস্তিনিদের মৌলিক মানবাধিকার বিশেষ করে পানি থেকেও তাদের বঞ্চিত করছে।
সূত্র : আল জাজিরা