কক্সবাজারে এবারের ঈদে সাপ্তাহিক হাটসহ ছোট-বড় ৯৪টি কোরবানি পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ৪৮টি এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪৬টি নতুন হাট বসবে। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

নিয়মিত হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি পশু শুরু হয়েছে। নিয়মিত হাট-বাজারগুলোত মিয়ানমারের গরু মহিষের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। রবিবার সাপ্তাহিক বাজারে খরুলিয়া বাজারে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার। খরুলিয়া বাজারে সহস্রাধিক গরু মহিষ মজুদ রয়েছে। এ বছর প্রচুর গরু বাজারে সরবরাহ থাকলেও মাঝারি মানের গরুর দাম বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে সোমবার রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজারের নিয়মতি হাটের দিন বাজারে কোন ধরণের পশুর দেখা মিলেনি। মিয়ানমারের চোরাই গুরুর হাট হিসাবে পরিচিত এই বাজারে প্রশাসেনের অভিযানের খবরে কেউ বিক্রির জন্য গুরু নিয়ে যায়নি। তবে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকৃত খামারি ও কৃষকরা। 

এদিকে আগামী সপ্তাহে গরু বিক্রি বাড়তে পারে সদরের ঈদগাঁও বাজার, পিএমখালীর জুমছড়ি বাজার, রামুর কলঘর বাজার, মিঠাছড়ির কাটির রাস্তা বাজার, গর্জনিয়া বাজার, উখিয়ার রুমখাঁ বাজারসহ প্রায় সবকটি বাজারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাজারে দেশীয় প্রচুর গরু মজুদ করেছে বিক্রেতারা। হাটগুলোতে ক্রেতা সাধারণের জন্য নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুল খালেক জানান, ঈদ বাজারে কোরবানের পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে থাকবে পশু টেষ্ট মেডিকেল টিম। জাল নোট সনাক্তকরণে বাজারে থাকছে বিশেষ জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে এবং ক্রেতা- বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

কোরবানের বাজারে নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের র্নিবিঘের জন্য প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সর্বসাধারণ যাতে নির্বিঘেœ পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বাজারে ১টি করে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও বিশেষ পুলিশ সদস্যরা আলাদাভাবে মোতায়েন থাকবে।

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি কোরবানের পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে আমরা সুবিধাজনক স্থানে অস্থায়ী বাজার বসাবো।

জানা যায়, এ বছর কক্সবাজার জেলায় ৯৪টি পশুর হাট বসছে। এরমধ্যে স্থায়ী বাজার ৪৮টি, কোরবান উপলক্ষে ৪৬টি। উপজেলাভিত্তিক অনুমোদিত বাজারের সংখ্যা হলো সদরে ১৪টি, রামুতে ১৩টি, চকরিয়ায় ১৬টি, পেকুয়ায় ৮টি, উখিয়ায় ৮টি, টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৬টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে বাজারের সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে।

বিডি প্রতিদিন/এএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews