এ পর্যন্ত ৭ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর। এরমধ্যে ‘হিটম্যান’ ও ‘অন্তরজ্বলা’ তাকে অন্যরকম পরিচিত দিয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আয়না, প্রেম প্রীতির বন্ধনসহ আরও কয়েকটি সিনেমা। তরুণ এই নায়ক শিল্পী সমিতির  দ্বিতীয়বার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে  মিশা সওদাগর- জায়েদ খান প্যানেল থেকে সর্বকনিষ্ট নায়ক হিসেবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে সমকালের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি

সর্ব কনিষ্ঠ নায়ক হিসেবে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কেমন লাগছে?

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এটাই তো আলাদা একটা অনুভূতি। এতো বড় বড় সুপাস্টার যাদের ছবি দেখে বড় হয়েছি সেই তারকাদের নিয়ে একটা প্যানেল গঠিত হয়েছে সেই প্যানেলে আমিও নির্বাচন করছি। তাদের সঙ্গে আমি একই ব্যানারে ও পোস্টারে থাকতে পারছি এটা আমার জন্য বড় ভাগ্যের  ব্যাপার। 

 আপনার স্বপ্নের তারকারা আপনার নির্বাচনে আসাটা কিভাবে নিচ্ছেন?

আমি যখন গত বার নির্বাচনে দাঁড়াই তার আগে আমাকে চলচ্চিত্রে এনেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাহেব। আমি যখন উনার সঙ্গে ফুলবাড়িয়াতে এক বছর গ্রুমিং করি তখনই চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর  চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করি। কাজের সুবাধে গত বছর নির্বাচনে দাঁড়াই। তার আগে থেকেই কিন্তু এই শিল্পী সমিতির সঙ্গে জড়িত হই। তখন থেকেই সিনিয়র শিল্প এবং জুনিয়র শিল্পী সবার সঙ্গেই দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাধে নির্বাচনে আসাটা সবাই ভালোভাবেই নিয়েছেন। সবার ভালোবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। এখানে সবাই আমার আপন আমিও সবার আপন।

গত মেয়াদে নির্বাচনে তিনজন সর্বোচ্চ ভোট পাওয়াদের একজন আপনি। এই সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার ম্যাজিকটা কি?

গত মেয়াদেও আমি মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছিলাম। সে সময় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো ভাইয়া ও অঞ্জনা আপু। তাদের পরেই সর্বোচ্চ ভোট আমি পাই। ৩৫৪ ভোট ছিলো এর মধ্যে আমি ৩০৩ বৈধ ভোট নিয়ে  জয়ী হয়েছিলাম। আমি অনেককে চিনিনা আবার আমাকেও অনেকেই চিনেননা তবুও তারা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। বলতে পারেন এর মূল ম্যাজিক হচ্ছে ভালোবাসা। আর আমি সবসময় সবার সঙ্গে ভালো ব্যববারের চেষ্টা করি।  সে হোক তারকা, মহা তারকা কিংবা সাধারণ থেকে অতি সাধারণ মানুষ। বলতে পারেন এই একটা কারণেই সবাই আমাকে ভালো বাসেন।

আপনি তো ক্রিকেটার ছিলেন...

আমি বিএকে এসপিতে ক্যাম্পিং করেছি দু'বার, মাগুরা জেলা টিমের হয়ে চার থেকে পাঁচবার খেলেছি, মাগুরা খেলা কল্যাণ সমিতির সহ সাংগঠনিক পদে এখনও দায়িত্ব পালন করছি। এই সংগঠনে মাগুরা জেলার লিজেন্ড ক্রিকেটাররা সবাই আছেন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও আছে।  আমার খুব কাছের ছোট ভাই সে। ওর সঙ্গে বহু ম্যাচ খেলা হয়েছে। সে আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু। আমাদের মধ্যেও দারুণ ভালো সম্পর্ক। তবে এখন দুই জনই ব্যস্ত থাকায় দেখা সাক্ষাৎ কম হয়। 

ক্রিকেটার থেকে নায়ক হলেন কিভাবে?

আসলে আমার স্বপ্ন ছিলো ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু কিভাবে যে নায়ক হলাম বুঝতে পারিনি। একদিন ডিপজল চাচ্চু আমাকে শখ করে বললেন তোকে নিয়ে আমি একটা সিনেমা করবো। পরে বিবিএ শেষ করার পর  চাচ্চু আমাকে নিয়ে  'এক জবান' নামে একটা সিনেমা বানালেন।  এই ছবি করতে গিয়ে চলচ্চিত্রের মায়ায় যে এতোটা জড়িয়ে যাবো কল্পণাও করতে পারিনি। এখনও সেই মায়াতেই আছি। 

ডিপজলের সঙ্গে আপনার পরিচয় কোন সূত্রে?

আমার বাসা মিরপুরে, আবার আমার ফুুফুর বাসা আমিন বাজারে। সেই সুবাধে ছোটবেলা থেকেই ডিপজল চাচ্চু আমাকে ছোটবেলা থেকেই চিনেন। খুবই আদর করেন, নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর চাচ্চুর মনে হলো আমাকে নিয়ে একটা ছবি করবে।সেটা  অনেকটা শখের বসেই। পরে আম্মুকে বলে আমাকে তার ফুলবাড়িয়ায় নিয়ে যান।  সেখানে এক বছর গ্রুমিং করার পর শুটিং শুরু করেন। সেই যে শুরু...



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews