পূর্ব-পশ্চিম দুই দিকে দুটি রেলক্রসিং। পাশ দিয়ে অতীশ দীপংকর সড়ক। তবে রাজধানীর মানুষজন একে বিশ্বরোড বলেই চেনেন। এই সড়কের সমান্তরালে খিলগাঁও রেলক্রসিং থেকে শুরু করে এলাকার ভেতর দিয়ে পশ্চিম দিকে মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বিশ্বরোডে গিয়ে মিলেছে শহীদ বাকি সড়ক। বেশ চওড়া এই সড়কটি অধুনা খাদ্যরসিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হরেক রকম খাবারের দোকানের জন্য। চায়নিজ থেকে শুরু করে ভারতীয়, মোগলাই থেকে দেশি চুইঝালের গরুর মাংস, কাবাব থেকে কাচ্চি, রসগোল্লা-চমচম, চা-কফি কী নেই এখানে!
খিলগাঁও ঢাকার একটি প্রাচীন এলাকা। অধুনা বিলুপ্ত পাণ্ডু নদের তীরে খিলগাঁও এলাকাটি তখন ছিল নদীকেন্দ্রিক বাণিজ্যিক এলাকা। অনাবাদি পতিত ভূমি ছিল অনেক। অনাবাদি জমিকে ‘খিল’ বলা হতো। সেই থেকে এই গ্রামীণ এলাকাটির ‘খিলগাঁও’ নামকরণ বলে মনে করা হয়। কালক্রমে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে।
আধুনিক পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে খিলগাঁও গড়ে তোলা হয় গত শতকের ষাটের দশকে। এটি রাজধানীর পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাগুলোর একটি। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তৎকলীন ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি), বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) খিলগাঁও আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে। সে সময় ফুলবাড়িয়া থেকে রেলস্টেশন কমলাপুরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। খিলগাঁও আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রধান লক্ষ্য ছিল কমলাপুরের বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আবাসনের ব্যবস্থা ও শহরের উত্তরমুখী সম্প্রসারণ করা।