ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার (১০ নভেম্বর) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের পূর্বে ইসরাইলের ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
হামাস সর্বশেষ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ’প্রতিদিন ও ক্রমাগত তা লঙ্ঘন’ করছে। তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে বোমাবর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় ২৭১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক এবং আরো ৬২২ জন আহত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, সোমবার নিহত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাহিনীর জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র ভেতরেও বাড়িঘর পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। হলুদ রেখা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত একটি অস্থায়ী প্রত্যাহার সীমানা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব খান ইউনিসে ইসরাইলের অভিযান তীব্র হয়েছে। এলাকার বৃহত্তম পৌরসভা বানি সুহেলার মেয়র হামদান রাদওয়ান বলেছেন, ‘প্রতিটি দুই তলা ভবন বা বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।’
আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে, ‘ইসরাইলি বাহিনী মধ্য গাজার আবাসিক ভবনগুলোও ধ্বংস করছে। স্যাটেলাইট চিত্র ও মাঠ পর্যায়ের ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ইসরাইল যুদ্ধবিরতির অন্যতম প্রধান শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করে চলেছে। হামাস জানিয়েছে, চুক্তি সত্ত্বেও ইসরাইল দৈনিক কমপক্ষে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি জ্বালানি বহনকারী ট্রাকও রয়েছে।
রোববার মাত্র ২৭০টি ট্রাক কারেম আবু সালেম ও আল-কারারা ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। সরবরাহ করা পণ্যের মধ্যে ১২৬ ট্রাক মানবিক ত্রাণ, ১২৭ ট্রাক বাণিজ্যিক পণ্য, ১০ ট্রাক জ্বালানি ও সাত ট্রাক রান্নার গ্যাস ছিল।
সূত্র : আল জাজিরা