সরলপুর ব্যান্ড সদস্যের কথা শুনে মেহের আফরোজ শাওনের মনে প্রশ্নও জেগেছে। তাঁর মতে, কোন ৩০ ভাগ বাউল সাধকের অংশ, সেটা তাঁরা আলাদা করে বললেন না কেন? শুধু তাই নয়, ইউটিউবে তাঁরা যখন গানটি আপলোড করেছেন, তখন গানটি কপিরাইট রেসট্রিকটেড লেখেননি কেন? কপিরাইট করা থাকে মানেই ওই গানের রাজা তিনি বা তাঁরা। লিখলেন না কেন? গীতিকার-সুরকারের নামও তাঁরা লেখেননি। যেখানে সরলপুর ব্যান্ডই তা লেখেনি, সেখানে তিনি বা অন্যরা কোথা থেকে জানবেন বলেও মনে করছেন তিনি।
শাওন জানালেন, সরলপুর ব্যান্ড যে বাউল সাধকের কাছ থেকে গানটি সংগ্রহ করেছে, কৃতিত্ব কেন দিলেন না? তাঁরা যদি দিতেন, অন্য অনেকে তা জানতে পারত। কারণ, এ গানের প্রকৃত মালিক তো একজন বাউল সাধক। একজনের গানের ৩০ ভাগ নিয়ে যদি ৭০ ভাগ অন্য কেউ লিখে দাবি করে তাঁর, সেটার কপিরাইট কীভাবে হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এই অভিনয়শিল্পী ও গায়িকার।
‘যুবতী রাধে’ গানটি নিয়ে সরলপুর ব্যান্ড সদস্যদের ফেসবুকে লাইভে কথা বলা এবং গান চুরির অভিযোগ তোলার বিষয়টিতে মর্মাহত হয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন। তাঁর মতে, সরলপুর ব্যান্ড সদস্যরা ফেসবুকে ওভাবে অভিযোগ না করে ফোন, মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জারে জানাতে পারতেন। কারণ, তাঁদের সবাইকে খুঁজে বের করা তো অসম্ভব কিছু নয়। শাওন বললেন, ‘আমরা একই জগতের মানুষ। এই গানের সংগীতায়োজক পার্থ দা, তাঁকে খুঁজে বের করাটা কি খুবই কষ্টকর? চঞ্চল চৌধুরী আর আমি শাওনকে খুঁজে বের করে তো তারা বলতে পারত—আপনারা যে গানটা গেয়েছেন, তা আমাদের সরলপুর ব্যান্ডের। কোনো কিছু না করে গানটা হঠাৎ করে ইউটিউব থেকে নামিয়ে ফেলা হলো। ফেসবুকে প্রতিবাদ করা হলো! এসব বিষয় একটু খারাপই লেগেছে। দুঃখজনক। আর কিছু না।’