প্রিয়া দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও যে বিসিএস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের চাকরির মতো আকর্ষণীয় চাকরিগুলো পাওয়া যায়, তা আমার অনেক সহপাঠী ভাবতে পারতেন না। তাঁরা সর্বোচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির স্বপ্ন দেখতেন। আমি মানতে পারতাম না। বড় স্বপ্ন দেখতে তো দোষের কিছু নেই।’
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক পাস করেন প্রিয়া দাশ। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। সেখানে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেন। শান্তা বলেন, ‘যেহেতু স্বপ্ন ছিল বড়, তাই স্নাতকের তৃতীয় বর্ষ থেকে চাকরির প্রস্তুতি নিই। প্রথমে বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছিল। বিশেষ করে গণিতে। নিয়মিত অনুশীলন করার পর সবকিছু সহজ হতে থাকে।’
প্রিয়া দাশ বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কম সুযোগ-সুবিধা পান। কিন্তু তারপরও এখানকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য প্রথমে নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিকল্পনামাফিক পড়াশোনা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব।