পিঠে অসহ্য় ব্যথা অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী একটি রোগ। এই রোগ শুধু বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তরুণ-তরুণীদেরও মধ্যে বাড়ছে এই রোগের প্রবণতা। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেস্কে পড়াশোনা করেন বা কাজ করেন, তারা সবচেয়ে বেশি পিঠের ব্যথায় ভোগেন। 

স্বাভাবিক জীবনধারায় মেরুদণ্ডের ডিস্ক ও পিছনের পেশীগুলিতে খুব বেশি চাপ পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার কারণ তৈরি হয়। মেরুদন্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও পিঠের ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য কয়েকটি জরুরি পরামর্শ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে দেওয়া রইল-

বসার ভাল কৌশল-

যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করেন, তারা সাধারণত ঘাড়, পিঠের পেশী ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভোগেন। যারা মোবাইল ব্যবহার বেশি করেন, তারা প্রায়ই পেটের উপর চাপ দিয়ে দেখেন। এছাড়া ঘাড়ের উপরিভাগে ও মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে। সঠিক ডেস্কটপের মনিটর বা ল্যাপটপের লেভেল ঠিক রাখা, যে চেয়ারে বসে কাজ করবেন, সেটি যেন আপনার পিঠকে ঠিক করে সাপোর্ট দিতে পারে, এইসব মাথায় রাখা প্রয়োজন।

বিরতি নিন-

ঘন ঘন বিরতি নেওয়া কাজের ক্ষেত্রে সঠিক নয়। তবে এই ব্রেক নেওয়ার ফলে শুধু মানসিক চাপকেই নয়. মেরুদণ্ডের উপরও চাপকেও শিথিল করে। মেরুদণ্ড ও পিঠের পেশীগুলির জন্য ব্রেক নেওয়া ভাল। কারণ পেশী ও স্নায়ুকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকলে তা অস্বাস্থ্যকর ও পিঠের ব্যথাও বাড়তে থাকে।

অনুশীলন ও যোগাসন-

ব্যায়াম আমাদের পেশী, জয়েন্ট, মেরুদণ্ডের ডিস্কের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে ও ব্যথা উপশম করে। আংশিক ক্রাঞ্চ, ব্রিজ, হ্যামস্ট্রিং, স্ট্রেচ, ক্যাট স্ট্রেচ, কাঁধ ও ঘাড় স্বাভাবিক রাখার সহদ ও কার্যকর ব্যায়ামগুলি করতেই পারা যায়। স্বনাসন, সালভাসন, মার্জারিয়াসন ও ত্রিকোণাসনের মতো যোগাসনগুলিও পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

নিয়মিত হাঁটুন-

নিয়মিতভাবে দ্রুত হাঁটাহাঁটি করলে পিঠের ব্যথা এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা উপশম হতে পারে। আমাদের আসল কাজগুলি ট্রাঙ্ক, কোর এবং কটিদেশের পেশী, মেরুদণ্ডকে দুর্বল করে এবং পিঠে ব্যথা করে। হাঁটা ওজন কমাতে সাহায্য করে, মেরুদণ্ডের পেশীতে রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং রক্তে অক্সিজেন এবং পুষ্টির মাত্রা বাড়ায়। এটি পেশী পুনরুজ্জীবিত করে এবং ব্যথা উপশম করে।

সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার-

চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল কারণ তারা শরীরের ওজন বাড়ায়, মেরুদণ্ডে চাপ দেয় এবং পিঠের সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি, যা প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।



বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews