সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিরোধী দলের ডাকা চতুর্থ দফা দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার অবরোধের প্রথম দিনে সড়ক ও মহাসড়ক যানবাহন শূণ্য।
রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু খাদ্য-পণ্যবাহী ট্রাক বিজিবি পাহারায় চলাচল করছে। এছাড়া সীমিত আকারে হালকা যানবাহন অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি এবং ট্রেন চলাচল করছে।
আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক এবং বগুড়া শহর দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ভোর থেকেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সকাল ৭টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের চারমাথার অদূরে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ পালন করে জামায়াত কর্মীরা। শত শত জামায়াত কর্মী মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া ওই সড়কের জয়বাংলা হাট এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করে সড়কের উপরে বসে পড়েন।
অবরোধ চলাকালে জামায়াত নেতারা বলেন, এ সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার মরণ খেলায় মেতে উঠেছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে সরকার আবারো এক তরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ অতীতের মতো রাতের বেলা ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ সরকারকে দিবে না।
অন্যদিকে, বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহর দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের বনানী লিচুতলা এলাকায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিল সমাবেশ করেন।
এ সময় বিএনপির নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সহিদ উন নবী সালামসহ বিএনপি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এছাড়াও জেলা সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মাটিডালী এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল সমাবেশ করেন।
এ সময় সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, কেএম খায়রুল বাশার, মনিরুজ্জামান মনিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।