করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলেও গতি পাচ্ছে না। প্রথম দিন মূল্যসূচকে বড় উত্থানের পরদিন থেকেই আবার পতনের মুখে পড়েছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীর সক্রিয়তা না থাকায় শেয়ার কেনাবেচা কম, যাতে লেনদেনও বাড়ছে না।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের চেয়ে মূল্যসূচক ও লেনদেন হ্রাস পেয়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩১২টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৬টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫২টি কম্পানির শেয়ারের দাম। আর দাম কমেছে ৪৩টি কম্পানির শেয়ারের।
গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আর সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা আর সূচক কমেছিল ২৬ পয়েন্ট। সেই হিসাবে সূচক ও লেনদেন উভয়ই হ্রাস পেয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরুর পর শেয়ার বিক্রির চাপ থাকলেও পরবর্তীতে কেনার চাপ বাড়ে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৬৩ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩২৮ পয়েন্ট ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। কম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৮১ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১২৭টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৩২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টি কম্পানির শেয়ারের দাম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।