ভারত : ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রণীত সপ্তম পে কমিশনের আওতায় বেতন পান। সেখানে সহকারী অধ্যাপকের প্রবেশমূলক বেতন ধরা হয়েছে ৫৭,৭০০ (একাডেমিক লেভেল-১০), সহযোগী অধ্যাপক ১,৩১,৪০০ (লেভেল-১৩ এ) এবং অধ্যাপক ১,৪৪, ২০০ (লেভেল-১৪)। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মহার্ঘ ভাতা, গৃহভাড়া ভাতা, মেডিকেল সুবিধা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। বাস্তবে একজন অধ্যাপক ভারতের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ অর্থ পান, তা বাংলাদেশের প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি।
শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কায় বেতনকাঠামো কিছুটা ভিন্ন। সেখানে মৌলিক বেতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও বিশাল পরিমাণ একাডেমিক ভাতা যোগ হয়। যেমন অধ্যাপকপদে মৌলিক বেতন ১,১৭,৩৫০-১,৫২,৪৫০ শ্রীলঙ্কান রুপি হলেও এর সঙ্গে ১৬০ থেকে ১৬৭ শতাংশ একাডেমিক ভাতা যুক্ত হয়। ফলে একজন অধ্যাপক মাস শেষে ৩ লাখ রুপি বা তারও বেশি পান। একইভাবে লেকচারার বা সিনিয়র লেকচারাররাও তাঁদের মৌলিক বেতনের দ্বিগুণের কাছাকাছি ভাতা পান। ফলে তাঁদের আয় বাংলাদেশের তুলনায় বহুগুণ বেশি, আর এতে শিক্ষকেরা গবেষণা, শিক্ষাদান ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় সময় ও শ্রম দিতে আরও উৎসাহিত হন।
নেপাল: নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বেতনকাঠামো অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপকেরা প্রায় ৪২,৩৮০ নেপালি রুপি পান, যা বিভিন্ন ভাতা যুক্ত হয়ে প্রায় ৫৩,৬৮৪ রুপিতে দাঁড়ায়। সহযোগী অধ্যাপক পান প্রায় ৬০,৯০২ রুপি এবং অধ্যাপক প্রায় ৬৬,৮৬০ রুপি। যদিও এই অঙ্ক ভারতের বা শ্রীলঙ্কার তুলনায় কম, তবু বাংলাদেশের তুলনায় তুলনামূলক প্রতিযোগিতামূলক।
এই তুলনা স্পষ্ট করে যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের বেতন পান। বিশেষত ভারত ও শ্রীলঙ্কা যেখানে শিক্ষকতা পেশাকে উচ্চ মর্যাদা ও প্রতিযোগিতামূলক বেতনে মূল্যায়ন করছে, সেখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে।