এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন অধিবেশনের মধ্যে একটি ছিল দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলায় বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা নিয়ে। আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান উন্নয়ন অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের প্রতিনিধিরা।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, বিশেষ করে নারী, আদিবাসী সম্প্রদায় ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক গোষ্ঠীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রচেষ্টা সরকারের বর্ণিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও উন্নয়নমূলক অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তা সত্ত্বেও মন্ত্রী শিল্পকারখানার উচ্চ-দক্ষতার চাহিদা এবং সাধারণভাবে স্বল্প দক্ষ শ্রমশক্তির মধ্যে দক্ষতার অমিল দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মন্ত্রী শিল্প খাত ও উন্নয়ন অংশীদারদের জীবনব্যাপী শিক্ষা বা লাইফলং লার্নিং উৎসাহিত করার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান; বিশেষ করে ওষুধ, আইসিটি ও কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো উদীয়মান শিল্প খাতে।