গত ১২ মে প্রকাশিত ওই রায়ে বিচারক সাইমন ফাদারগিল বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে বিচারিক পর্যালোচনার (জুডিশিয়াল রিভিউ) আবেদন নাকচ করেছেন। এখানে আপিলের জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ পাওয়া যায়নি বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।

এর আগে মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর দেশটির ইমিগ্রেশন ডিভিশনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আবেদন খারিজ করেছিলেন কানাডার ফেডারেল আদালতের বিচারক হেনরি এস ব্রাউন।

অভিবাসন দপ্তরের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, আবেদনকারী জুয়েল হোসেন গাজী এমন একটি সংগঠনের সদস‌্য, যে দল ‘সন্ত্রাসে যুক্ত বলে মনে করার যৌক্তিক কারণ আছে’। সুতরাং কানাডার ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ‌্যাক্টের (আইআরপিএ) ৩৪(১) এর এফ ও সি ধারা অনুযায়ী তিনি সুরক্ষা পাওয়ার জন‌্য কানাডায় বসবাসের স্থায়ী অনুমতি পাওয়ার যোগ‌্য নন।

কানাডার আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব‌্যক্তি যদি এমন কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, যে সংগঠন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল, আছে বা ভবিষ‌্যতে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে, তাহলে তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। 

জুয়েল গাজীর জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদনের শুনানি করে অভিবাসন দপ্তরের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে গত ২৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন বিচারক ব্রাউন।

একই আদালতের বিচারক ফাদারগিলও জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন খারিজের পিছনে একই কারণ দেখিয়েছেন। তবে ওই বিএনপি নেতার অনুরোধে সাড়া দিয়ে তার নাম প্রকাশ না করে নামের আদ্যক্ষর ‘এস এ’ লেখা হয়েছে রায়ে।   

‘কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন’- এই তথ্য প্রকাশ পেলে বাংলাদেশে তার জীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে দাবি করে তিনি আদালতের কাছে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

মামলার রায়ে বলা হয়, ‘এস এ’ আদ্যক্ষরের ব্যক্তি ২০০৪ সালে বিএনপির যুব শাখা জাতীয়তাবাদী যুবদলে যোগ দেন। ২০১২ সালে তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে তিনি কানাডায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।

২০১৬ সালের আগাস্টে ইমিগ্রেশন ডিভিশন তার আবেদনের শুনানি করে ওই দিনই সিদ্ধান্ত জানায়। ‘এস এ’ নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবি করেছেন উল্লেখ করে ইমিগ্রেশন ডিভিশন তাকে কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করে।

তাদের সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিএনপি সন্ত্রাসে ছিল, আছে বা ভবিষ‌্যতেও থাকতে পারে-এমন ধারণা করার যৌক্তিক কারণ আছে। কাজেই বিএনপির সদস্য হিসেবে  ‘এস এ’ ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট এর ৩৪ (১) (এফ) ধারা মোতাবেক  কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য।

এই বিএনপি নেতার রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারক ফাদারগিল বলেন, ইমিগ্রেশন ডিভিশনের পর্যালোচনায় তিনি কোনো ভুল খুঁজে পাননি। কানাডার আইনে সন্ত্রাসের বিস্তৃত যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে সেদিক থেকে বিএনপির হরতাল ডাকার উদ্দেশ্য ও ইচ্ছা, হরতালে যে সন্ত্রাস এবং স্বাভাবিক জীবনের বিঘ্ন ঘটেছে এবং এই কাজের (হরতালের)  ফলে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিএনপির সচেতনতা বিবেচনায় নিয়ে ইমিগ্রেশন ডিভিশন যুক্তিসঙ্গতভাবেই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, বিএনপি হচ্ছে একটি সংগঠন যেটি সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিল,আছে বা সন্ত্রাসে লিপ্ত হবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews