ধরি ‘বস্টন’ নামক এক কোম্পানির অ্যাসেট ১০০ টাকা। উন্নত দেশে এই সম্পদের ৩০ শতাংশ ঋণের অংশে থাকে। বাকি ৭০ ভাগ মালিকানার অংশ বা একুয়িটি। বস্টন কোম্পানি যদি ১৪ টাকা আয় করে, তাহলে অ্যাসেট রিটার্ন হবে শতকরা ১৪ ভাগ আর একুয়িটি রিটার্ন হবে শতকরা (১৪/৭০) = ২০ ভাগ।
ধরা যাক, বাংলাদেশে হিম্মত আলী এ রকম এক কোম্পানি চালাচ্ছেন। হিম্মত আলী সরকারি দলকে টাকাপয়সা দিয়ে এমপি হয়েছেন এবং ব্যাংক লুট করার ‘রাজনৈতিক অনুমতি’ পেয়েছেন। এতে তিনি তাঁর ব্যবসার পুঁজিকাঠামো বিকৃতভাবে সাজাবেন।
যেহেতু ব্যাংকের টাকা অনেকটা ‘ফ্রি’, সেহেতু তার পুঁজিকাঠামোতে থাকবে ৯০ টাকার ঋণ। বাকি ১০ টাকা মালিকানার অংশ। হিম্মত কোম্পানি যদি মাত্র ১০ টাকা আয় করে, তাহলে অ্যাসেট রিটার্ন হবে শতকরা ১০ ভাগ, যা বস্টন কোম্পানির চেয়ে কম। কিন্তু হিম্মতের একুয়িটি রিটার্ন হবে শতকরা (১০/১০) = ১০০ ভাগ, যা বস্টন কোম্পানির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি দেখাচ্ছে। অথচ হিম্মত কোম্পানি উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় চিতপটাং হবে। তাই বিনিয়োগকারীরা দুটোই দেখেন। তাঁরা সেয়ানা। চিকিৎসকের মতো জিব, চোখ, নাড়ি সব পরখ করেন।