তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শিশু-কিশোরসহ পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর টেলিভিশনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নতুন প্রজন্মের মনন তৈরি এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছানোর জন্য মেধা, মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধ সম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরির সক্ষমতা টেলিভিশনের রয়েছে। জাতি গঠনে টেলিভিশন অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আরটিভির সহায়তায় বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দীপ আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, আরটিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিকুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান রেজওয়ানুল হক রাজা, একাত্তর টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ, গাজী টিভি ও সারাবাংলাডটনেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নিউজ ২৪-এর বার্তাপ্রধান রাহুল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।\হতথ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয়, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ ও মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়া তোলার দায়িত্ব সকলের। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান তৈরি ও সাজানোর ক্ষেত্রে এ কাজগুলো যদি মাথায় রাখা হয়, তাহলে যে অনুষ্ঠানই করি, সেটার মাধ্যমেই এ দায়িত্ব পালন সম্ভব।
তিনি বলেন, একটি সিনেমা মুক্তি পেতে হলে তাকে সেন্সর বোর্ড হয়ে অনুমতি নিতে হয়। বিদেশি সিরিয়ালের জন্য তো লিখলেই সরকার অনুমতি দিতে পারে না। সেজন্য শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে। দেশের আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং আমাদের জনগোষ্ঠীর কল্যাণের বিষয়টি বিচার-বিশ্নেষণ করে সিরিয়ালের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, টেলিভিশনে যারা কাজ করেন, তাদের অনেকের চাকরির পর্যাপ্ত আইনি সুরক্ষা নেই। এজন্য আলোচনা করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিদ্যমান সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে সেটি করা সম্ভব। এ বিষয়ে মালিকদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।