ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি তাবলীগ জামাতের দলকে হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিলেন স্থানীয় জনগণ। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও করোনাভাইরাস আতঙ্ক।
জানা গেছে, ভারতে তাবলীগ জামাত অংশ নিতে গিয়ে আটকে থাকা বাংলাদেশি মুসল্লিদের ৪০ সদস্যের একটি দল দিনাজপুরের হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে রাখতে হিলির ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারত থেকে তাদের ফিরে আসার খবরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে তাদের দেশে প্রবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় জনগণ।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে হিলির বাংলাহিলি বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ও হাকিমপুর ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকার জনগণ বের হয়ে তাবলিগ জামাতের সদস্যদের রাখার জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার নির্মাণে বাধা দেন।
হিলির স্থানীয় বাসিন্দা তুফান মোবারক বলেন, ভারতে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে তাবলিগ জামাতে অংশ নিতে যাওয়া কয়েকজন আক্রান্তও হয়েছে। মারাও গেছেন কয়েকজন। তাদের কোয়ারেন্টিন করে রাখতে হিলি স্থলবন্দর সংলগ্ন বালিকা বিদ্যালয়, ডিগ্রি কলেজ ও মহিলা কলেজে কাজ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্টান ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ভারতফেরতদের মাধ্যমে আমাদের এলাকাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাদের যদি রাখতেই হয় তাহলে তাদেরকে শহর থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে রাখুক।
তারা বলেন, হিলিবাসীর সুরক্ষার স্বার্থে তাদেরকে আমরা ঢুকতেও দেব না।
এ বিষয়ে হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, আমরা হিলিবাসী এখনও ভালো আছি এবং ভালো থাকতে চাই। করোনাভাইরাসের কারণে হিলি সীমান্তবাসী আমরা আতঙ্কিত। এ সময় হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত থেকে কেউ আসুক এটা আমরা চাই না। এমনকি বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি ও পানামা পোটের্র পন্য খালাস হউক তাও চাই না।
এ ব্যাপারে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি সেকেন্দার আলী জানান, তাবলীগ কর্মীদের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরার বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, তাবলীগ জামাতের সদস্যদের ভারত থেকে দেশে ফেরার এখন পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তারা যদি আসেন তবে তাদের কোয়ারেন্টিন করে রাখার জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।