স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড় কাটার মামলায় যে ১৮ জনকে আসামি করা হয়, তাঁদের মধ্যে শামসুদ্দিন ও বাহারের নেতৃত্বেই এই পাহাড় কাটা চলছে। এর মধ্যে বাহারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে পাহাড় কাটার অভিযোগে অপর একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় একই বছর এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আবার ২০২১ সালে চন্দ্রনগর এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে শামসুদ্দিন ও বাহারকে ছয় লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। এই জরিমানার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে আপিল করেন তাঁরা। তবে আপিল খারিজ হয়ে যায়।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে বাহার উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। শামসুদ্দিনকে ফোন করা হলে ফোনটি ধরেন তাঁর ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন। মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বড় ভাই এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। পাহাড় কাটার স্থানে শামসুদ্দিনের একটা জায়গা রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তাঁর ভাই পাহাড় কাটায় জড়িত নন বলে দাবি করেন মহিউদ্দিন।
জানতে চাইলে জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাদা কাজী মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুজনই আমাদের কমিটির পদে আছেন। বাহারের বিরুদ্ধে একটি পাহাড় কাটার অভিযোগ শুনেছিলাম। কিন্তু কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। আমরা ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। এখন যদি মামলা হয়ে থাকে সেটা আইন অনুযায়ী যা হয় তা হবে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রথমে পাহাড় কেটে সমতল করা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয় প্লট আকারে। একেকটি প্লট ২ থেকে ৩ কাঠা পর্যন্ত হয়। প্রতি কাঠার বাজারমূল্য কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর মামলার তদন্ত করছে। এখন নতুন করে পাহাড় কাটার বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ দেয়নি।