এই অস্বীকৃত এবং অদৃশ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, রান্না করা, শিশুর যত্ন নেওয়া, বয়স্ক মানুষের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি। এর সঙ্গে আরও আছে কৃষিকাজ, গবাদিপশুর দেখাশোনা ও বীজ সংরক্ষণ।

অর্থনীতিবিদেরা দেখিয়েছেন, দেশে ৪৩ শতাংশের বেশি নারী পুরোপুরিভাবে গৃহস্থালিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে এই কাজে যুক্ত পুরুষের সংখ্যা ১ শতাংশের কম।

এই কাজগুলো কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা ছাড়াই গৃহিণীরা করে থাকেন। তাহলে হঠাৎ এমন কী ঘটল যে গৃহিণীদের নামে ব্যাংকে এত টাকা জমা হচ্ছে?

নারী অধিকারকর্মীরা বহু বছর যাবৎ দাবি জানিয়ে আসছেন যে নারী যেন তাঁর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের জন্য সম্মানিত হন। সংসারের সব কাজ করেও তাঁকে যেন সবার সামনে মাথা নত করে থাকতে না হয়। এত কাজ করার পরেও কোনো সন্তান যেন মনে না করে যে তার মা কিছুই করেন না। স্বামীসহ সংসারের আর কোনো সদস্য যেন বলতে না পারেন, ‘তুমি সারা দিন করোটা কী?’

তাদের সেই স্বপ্ন যদি সত্যি পূরণ হতো, তাহলে এর চেয়ে সুখের সংবাদ আর কিছুই হতো না। কিন্তু না, এখানে গৃহিণীকে সম্মান না দিয়ে, বরং স্ত্রী হিসেবে তাঁর পরিচয়টাকে ব্যবহার করেছেন কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ও টাকাওয়ালা স্বামী। সংসারের সব দায়িত্ব পালন করার জন্য তাঁরা স্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন না, কৃতজ্ঞতা জানান না, মর্যাদা, ভালোবাসা ও সম্পত্তিতে মালিকানা দেন না। কিন্তু চুরির টাকার বা বাড়তি কালোটাকার দায় চাপিয়ে দেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews