দুই. সরকারি ন্যূনতম মজুরি আইন ও সার্ভিস চার্জের সমবণ্টন। বর্তমানে মালদ্বীপে মাসিক ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৭০০ রুফিয়া (৩৬৯ মার্কিন ডলার), সরকারি চাকরিতে ৭ হাজার রুফিয়া (৪৫৩ মার্কিন ডলার), মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার রুফিয়া (৫১৮ মার্কিন ডলার) ও বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার ২০০ রুফিয়া (৬৬০ মার্কিন ডলার)। ক্ষুদ্রতম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম মজুরিকাঠামোর বাইরে রাখা হয়েছে। রিসোর্টগুলোয় ১০ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয়েছে, যা ম্যানেজার থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী—সবার মধ্যে সমপরিমাণে (সমহারে নয়) বণ্টন করতে হয়। সম্ভবত এ কারণেই একটি রিসোর্টে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত একজন বাংলাদেশি আমাকে জনান্তিকে জানিয়েছেন, তিনি এখানে ইউরোপ–আমেরিকার সমপরিমাণ অর্থ আয় করছেন।
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ প্রথমেই তার পোতাশ্রয়গুলোর উন্নয়ন করে। নদীতে পাথর ফেলে মহাসাগরের ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিটি দ্বীপে নৌযান চলাচলের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এসব নৌযান আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথভাবে মালদ্বীপে নির্মাণ করা হচ্ছে। দূরতম দ্বীপটিতেও যাতে দিনে দিনে যাওয়া-আসা করা যায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাড়ি ও পণ্য পরিবহনের জন্য ফেরি চালু করা হয়েছে।
প্রতিটি দ্বীপে বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি দ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোকে পাকা করা হয়েছে। নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা হয়। এ জন্য তাদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে চীনা সহায়তায় মালে-হুলুমালে-ভেলেনা বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। সামগ্রিকভাবে দ্বীপগুলোয় দেশি-বিদেশি ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়।