চাইল্ডকেয়ার বা শিশুদের পরিচর্যা নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সরব হলেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বুধবার পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনের এই এমপি। আলোচনায় তিনি ব্রিটিশ সরকারের ৩০ ঘণ্টার একটি চাইল্ডকেয়ার অফারের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার বিষয়ে কথা বলেন।

সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের এই আয়োজনে চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও শেখ রেহানার কন্যা লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। শিশুদের পরিচর্যা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েও আলোচনা হয় এতে।

উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনের এই এমপি বলেন, সারাদেশে চাইল্ড কেয়ার সেবা দানকারীরা ইতোমধ্যেই তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তহবিলজনিত চাপের কারণে অনেকে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান নিয়ে।

টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন দলের এমপিরা এই খাতে খরচের পর্যালোচনা করবেন এবং এ সম্পর্কে শুনবেন। আমি নিশ্চিত যে, এই অনুষ্ঠানটি এমপিদের জন্য একটি চমত্কার সুযোগ।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে উপযুক্ত কর্মীদের পরিবারের তিন ও চার বছর বয়সী শিশুরা সরকারি তহবিলে প্রতি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা করে চাইল্ডকেয়ার সুবিধা ভোগ করে। তবে এটি চালুর পরপরই সমালোচনার মুখে পড়ে বিষয়টি। সমালোচকরা বলছেন, যে তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে এ ধরনের একটি সেবা চালু রাখা যায় না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিডা’র ধারণা, এই সেক্টর বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি তহবিল ঘাটতির কবলে পড়বে।

প্রি-স্কুল লার্নিং অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী নেইল লিচ বলেন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে আমরা দেখতে পাচ্ছি, নার্সারি, প্রি-স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ফি বাড়ছে। মা-বাবার ব্যয় বাড়ছে। এক্ষেত্রে হয় মানের ব্যাপারে আপোস করতে হচ্ছে অথবা ভালো কিছুর আশা ছেড়ে দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে যেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শিশুদের রেখে নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার মতো জায়গাগুলোর (চাইল্ডকেয়ার সেন্টার) খরচ বেশি হলে সাধারণ কর্মজীবী মায়েদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যঘাত ঘটে। ফলে চাইল্ডকেয়ার সেন্টারগুলোতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার গুরুত্ব রয়েছে। এর ফলে কর্মজীবী মায়েদের পক্ষে সন্তানকে সেখানে রেখে কাজে যেতে সুবিধা হয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews